ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এল নিনোর কবলে পড়েছে পৃথিবী।
এমনিতেই এর প্রভাবে চলতি বছর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে রেকর্ড করেছে। কিন্তু আসছে ২০১৬ সালে এর প্রভাব আরও ভয়ঙ্করভাবে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা ১৯৯৮ সালের এল নিনোর ক্ষয়ক্ষতিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাসহ বেশ কয়েকটি গবেষণা সংস্থা চলমান এল নিনো পরিস্থিতি নিয়ে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমনিতেই চলমান এল নিনো পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর অনেক জায়গাতেই বন্য, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দিয়েছে। এছাড়া উত্তর গোলার্ধেও বিরাজ করছে উষ্ণ পরিস্থিতি। ক্রান্তীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতও হয়েছে অনেক কম। ওই অঞ্চলের অনেক দেশেই বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে ২০-৩০ শতাংশ কম হয়েছে। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হলো এর প্রভাবে ২০১৬ সালে ব্যাপক খরা এবং খাদ্যসঙ্কটে পড়তে পারে পুরো পৃথিবী। শুধু আফ্রিকা মহাদেশেই ৩ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ পড়তে পারেন ভয়াবহ খাদ্য সংকটে। এল নিনোর প্রভাবে খরা মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের খামখেয়ালিপনাতেই এল নিনোর জন্ম হয়। মহাসাগরের মাঝামাঝি এলাকায় জলভাগ উষ্ণ। সেই উষ্ণ জল যখন বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তখন এল নিনোর জন্ম হয়। মধ্য প্রশান্ত মহাসাগর থেকে প্রসারিত হয়ে উষ্ণ জল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দিকে অনেকটা এগিয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে গোটা বিশ্বের আবহাওয়ার উপরেই। ফলে ঋতু পরিবর্তনের স্বাভাবিক গতি বাধা পায়। বন্যা এবং খরার প্রবণতা বাড়তে থাকে। ফলে ফসলের চাষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলিকেই এল নিনোর আঘাত সবচেয়ে বেশি সইতে হয়। কখনও কখনও টানা এক বছর এল নিনো স্থায়ী হয়। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স