ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় দুই পরিবার মিলে ১৪ বছর বয়সী এক স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে ১৫ বছর বয়সী স্কুলছাত্রের বিয়ের আয়োজন করেছিলো দুই পরিবার। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন পণ্ড করে দেন । এ ঘটনায় পুলিশ বর ও কণের বাবাকে আটক করে। আজ সোমবার দুই পরিবারের মুচলেকায় বর ও কণের বাবাকে মুক্তি দিয়েছে।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, রবিবার দিনগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার মাটিভাঙ্গা গ্রামের মো. ইদ্রীস মুন্সির ছেলে স্কুলছাত্র (১৫) এর সাথে একই গ্রামের মো. জাফর হাওলাদার এর স্কুল পড়ুয়া (১৪) এর সাথে দুই পরিবারের সম্মতি বিয়ের আয়োজন করা হয়। গোপনে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম নান্না মিয়া এ বাল্যবিয়ে পড়ান। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ বরের বাবা ও কণের বাবাকে আটক করে। এসময় বিয়ের কাজি ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
পরে আজ সোমবার সকালে আটকৃত বর ও কণের বাবাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় দুই পরিবার বাল্যবিয়ের আয়োজনের অপরাধ স্বীকার করায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত রানা তাদের লিখিত মুচলেকায় মুক্তি দেন। সেই সাথে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন আরাফাত রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আটক বর ও কণের বাবা অপরাধ স্বীকার করে লিখিত মুচলেকা দিলে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।