ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূল - মঠবাড়িয়ায় শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়তে হাতেখড়ির সংগঠনের “উপকূল পাঠাগার” চালু

মঠবাড়িয়ায় শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়তে হাতেখড়ির সংগঠনের “উপকূল পাঠাগার” চালু


বিশেষ প্রতিনিধি 🔻
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বেতমোর ইউনিয়নের নিভৃত ঘোপখালী গ্রামে সামাজিক সংগঠন হাতে খড়ি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে ও তাদের মানসিক বিকাশে উপকূল পাঠাগার চালু করা হয়েছে।
আজ সোমবার পাঠাগারটির শুভ উদ্ভোধন করেন কালের কণ্ঠের আঞ্চলিক প্রতিনিধি ও আলোকচিত্রী দেবদাস মজুমদার অনুষঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ উপকূল পাঠাগার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন উপকূল পাঠাগারটি হাতে খড়ি ফাউন্ডেশনের একটি অনন্য উদ্যোগ। হাতে খড়ি ফাউন্ডেশন এরকম উন্নয়নমূলক নানা কার্যক্রম করে আসছে বিগত কয়েক বছর ধরে। আমি হাতে খড়ি ফাউন্ডেশনের সাফল্যময় সমৃদ্ধি কামনা করছি। জ্ঞানার্জনে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। আর এই বইপড়া নিয়েই আমাদের গড়িমসি শিশু, কিশোর ও তরুণদের মানসিক বিকাশে সহায়ক নয়।

পাঠাগার এর উদ্যোক্তারা জানান, ৪-১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য পড়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, টেক্সট বইয়ের পাশাপাশি সৃজনশীল শিক্ষার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, এবং ‘পড়াই আনন্দ’ এই বার্তা সব শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে পাঠাগারটি। বই পড়ার পাশাপাশি শিশুরা সেখানে শিক্ষামূলক খেলনা দিয়ে খেলাধুলা, শিক্ষামূলক ভিডিও দেখা, কম্পিউটার চালনাসহ করতে পারবে ইন্টারনেট ব্যবহারের জ্ঞানার্জন। এর ফলে শিশুরা শুধু বই পড়াই নয়, পাবে কারিগরি শিক্ষায়ও দক্ষ হওয়ার সুযোগ। অনেক বাচ্চা রয়েছে, যারা বই পড়তে ভালোবাসে। তবে নিয়মিত বই কিনে পড়ার সামর্থ নেই, তাদের জন্য সহজে বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই হাতে খড়ি ফাউন্ডেশনের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পাঠাগারটি শুধু বই পড়াকে ঘিরে নয়, থাকবে বিনোদনের নানা আয়োজন। পাঠাগারটি শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ আলোকিত করবে বলে বিশ্বাস করেন হাতে খড়ি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
সংগঠনের সদস্যরা বলেন, আমরা আপাতত কিছু সংখক বই দিয়ে শুরু করছি আস্তে আস্তে আমরা আমাদের বইয়ের সংখ্যা বাড়াবো।
আমাদের পাঠাগার দিয়ে বই বাড়িতে নিয়ে পড়তে পারে শিশু কিশোররা।সপ্তাহে ৪দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে পাঠাগারটি।এখানে রয়েছে শিশুদের গল্পের বই,ছড়ার বইসহ শিশুদের জন্য অনেক বই।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. রুবেল মিয়া নাহিদ বলেন, পাঠাগার থেকে শিশুরা শিশুতোষ গল্পের বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। তিনি মানসম্মত শিক্ষার উন্নয়নে জীবনমান সহায়ক শিক্ষা প্রসারে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
হাতে খড়ি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সুমন চন্দ্র মিস্ত্রি সজিব বলেন হাতে খড়ি ফাউন্ডেশন দক্ষিণ জনপদের একটি স্বনামধন্য সেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০১৮ সালের ১৭ই মার্চ শুরুর পর থেকে দক্ষিণ উপকূলের জেলে শিশুদের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি আমরা কাজ করছি নানা রকম সামাজিক উন্নয়নে। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সামাজিক কাজে অবদান রাখায় ২০২০ সালে হাতে খড়ি ফাউন্ডেশন অর্জন করে জাতীয় পুরস্কার ‘জয় বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড’-২০২০।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...