নারীরা এখন আর আগের মত পিছিয়ে নেই।যতটুকু আছে তা শুধুই দেহের কারনে।ছোটবেলা থেকেই তাদের শেখানো হয় তোমার দেহই তোমার প্রধান কিংবা একমাত্র সম্পদ।যেকোন মূল্যেই এই সম্পদ রক্ষা করতে হবে।অন্যথায় তোমার জীবন এখানেই শেষ।আর নারীরা এ সম্পদ রক্ষার জন্য সব কিছুই বিসর্জন দেয়।তার পড়াশুনা চাকুরী কিংবা মুক্তচিন্তা সবকিছুই।দেহ রক্ষার জন্যই তারা স্কুলে নিয়মিত হতে পারে না, দুরে কোন ভালো কলেজেও পড়তে পারে না কিংবা চাকুরির প্রস্তুতিও নিতে পারে না।চাকুরী পেলেও অনেক সময় করতে পারে না,ব্যবস্যা করতে গেলেও সেই ব্যবস্যার আগে দেহ নিয়ে ভাবতে হয়,স্বামীর সাথে বণিবনা না হলেও নারী ডিভোর্স দিতে ভয় পায় এর কারনও ওই দেহই।অবিভাবকরাও দেহ অপবিত্র হওয়ার আশংকায় অল্প বয়সেই তাদের বিয়ে দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে।দেহ রক্ষার জন্যই মানসিকতায় তারা বন্দি হয়।এক সময় দেহ ছাড়া আসলেই কিছুই তার থাকে না।এক সময় সেই দেহ ও আর সম্পদ থাকে না।কার্যত তখন তারা হয়ে হয়ে পরে মূল্যহীন।একজন মূল্যহীন মানুষ পদে পদে লাঞ্ছিত হবে এটাই স্বাভাবিক।
আর এদিকে ছেলেরাও ততদিনে শিখে যায় নারীদেহ অত্যন্ত মূল্যবান।নিজেদের নীতি নৈতিকতা সব বিসর্জন দিয়ে হলেও নারী দেহের জন্য তার লোভাতুর হয়ে ওঠে।
আমি বলছি না দেহ তারা বিলিয়ে দিক।শুধু সামাজিকভাবে দেহকে এতটা মুল্যবানভাবাটা বন্ধ হোক।
লেখক
ডাঃ জিয়াউল হক টিপু