ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - জনস্বাস্থ্য - বরগুনা সদর হাসপাতলে বিশেষ দিবসে ভূয়া রোগির নামে খাবার চুরির অভিযোগ

বরগুনা সদর হাসপাতলে বিশেষ দিবসে ভূয়া রোগির নামে খাবার চুরির অভিযোগ

জয়দেব রায়, বরগুনা : সরকারী বিশেষ দিবসে হাসপাতালে উন্নত মানের খাবার সরবরাহের নামে খাবার চুরির অভিযোগ উঠেছে বরগুনা সদর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আজ জাতীয় শিশু দিবসে এ খাবার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে, সরকারী বিশেষ দিবসে দেশের সকল হাসপাতালে রোগীদের মাঝে প্রতিদিনের চেয়ে একটু ভালো খাবার দেওয়ার জন্য বাড়তি বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু হাসপাতালের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং নিয়োজিত খাদ্য ডিলাদের যোগসাজসে বিশেষ দিবস গুলোতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি দেখিয়ে বাড়তি রোগির টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে হাসপাতালের ওই চক্রটি।
জাতীয় শিশু দিবসে বরগুনা সদর হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরগুনা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোট ১৫৪ জন রোগী আছে। এদের মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৩৯ জন, মহিলা ওয়ার্ডে ৯৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৯ জন। তবে হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্টারে বৃহস্পতি বার মোট রোগী দেখানো হয়েছে ১৮৪ জন। বাকি ৩০ জন রোগী অতিরিক্ত দেখিয়ে তাদের নামে বিশেষ দিবসে বরাদ্দ হওয়া খাবার চুরি করেছে হাসপাতালের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।
সরকারি এসব হাসপাতাল গুলোতে এভাবেই প্রতিটি সরকারী দিবসে রোগীদের ভালো খাবার খাওয়ানোর নাম করে ভুয়া রোগী ভর্তি দেখিয়ে দিনের পর দিন অর্থ লোপাট করছে সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে পুরুষ ওয়ার্ডের দ্বায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স জাকিয়া পারভিন জানান, তিনি সকাল ৮টায় ওয়ার্ডে আসলে ভর্তি রেজিষ্ট্রারে থাকা কিছু রোগীদের বেডে পাওয়া যায়নি যাদের নাম রেজিস্টারে রয়েছে তাদের মধ্যে বাবুল, রাসেল, নজরুল, সবুজ, আব্দুল হক এবং মহিলা ওয়ার্ডের দ্বায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহিনুর জানান, তিনিও সকালে হাসপাতালে এসে একই অবস্থা দেখতে পান হেলেনা, মরিয়ম, মমতাজ যাদের নাম রেজিস্টারে থাকলেও বেডে পাওয়া যায়নি ওই নামের রোগীদের।
হাসপাতালের পাচক আলমগীর হোসেন জানান, হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৫৪ জন রোগীর রান্না করার জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রধান সহকারী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এই বার ভুল হয়েছে আর ভুল হবে না আপনাকে কথা দিচ্ছি।
সদর হাসপাতালের অফিস সহায়ক শাহ-জালাল কিছু টাকা বের করে মাফ চেয়ে বলেন এই বারের জন্য মাফ করে দেন ভাই আর এমন ভুল হবে না।
বরগুনা সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডাঃ সোহরাব উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি দুঃখ জনক আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

x

Check Also

ভাণ্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি স্বাস্থ্যসম্মত গ্রাম ঘোষণা

ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠী গ্রামকে স্বাস্থ্যসম্মত গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। উন্নয়ন ...