এই পৃথিবীর পরে, কত ফুল ফোটে আর ঝরে
সে কথা কি কোনদিন, কখনো কারও মনে পড়ে…
সাবিনা ইয়াসমিনের সত্তর দশকের তুমুল জনপ্রিয় গান এটি। আসলেই তাই—পৃথিবীতে প্রতিদিন কত ফুল ফোটে, ঝরে যায়—তার খবর কে রাখে? এতদিন পর্যন্ত কেউ রাখত না, এখন রাখছে। তাও আবার যেন তেন পুষ্প প্রেমিক নয়, খোদ বিজ্ঞানীরা!
অনেকে হয়তো বলবেন বিজ্ঞানীরা খোঁজ তো অনেক আগে থেকেই রাখছেন। নইলে ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম, শ্রেণিবিন্যাসগুলো হলো কী করে? সে কথা মানছি, তবে এসবই তো জীববিজ্ঞানীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা। কিন্তু পদার্থ আর গণিতের চর্চা আছে কি ফুল বিজ্ঞানে? মাথা চুলকোনার দরকার নেই।
উদাহরণ রয়েছে আমাদের ঘরেই। লজ্জাবতীর পাতা চুপসে যাওয়া দেখে তাতে পদার্থবিদ্যার সূত্র খুঁজতে গিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশী বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু। তাঁর সফলতা জীববিজ্ঞানে নতুন মাত্রা যোগ করে।
তবে এবার শুধু পদার্থবিজ্ঞানে আটকে থাকবে না উদ্ভিদবিজ্ঞান, চলছে গণিত তথা জ্যামিতির ফর্মুলা প্রয়োগের চেষ্টা।
একটা প্রশ্ন করি, বলুন তো প্রতিটা জবা ফুলে কেন পাঁচটি করেই পাঁপড়ি থাকে? পাঁচটি পাঁপড়ির দিব্যি তাকে কে দিয়েছে? মাঝে সাঝে কম বেশি কি হতে পারে না? না, পারে না। কেন পারে না? তাহলে এতে কি কোনো গাণিতিক রহস্য লুকিয়ে আছে? অবশ্যই। জবাফুল কোথায় পায় এই গাণিতিক হিসাব? কেন তার ডিএনএ থেকে। তার জিনে যা লেখা আছে তারই প্রয়োগ ঘটায় ফুলের পাঁপড়ি মেলাবার সময়। সে না হয় বুঝলাম। ফুল ফোটার আগেও কি পাঁপড়িগুলো আলাদা ছিল? হ্যাঁ ছিল, ফুলের কুড়ি হাতে নিয়ে মেলে দেখলেই দেখা যাবে প্রতিটা পাঁপড়ি আলাদা আলাদাভাবে প্যাঁচানো।
সে না হয় বুঝলাম। কুড়িতে পরিণত হওয়ার আগেও কি পাঁপড়ি আলাদা ছিল? উত্তর….? আসলে আলাদা ছিল না। একটা পাঁপড়ি নিয়েই ফুলের যাত্রা শুরু হয়। তারপর একসময় সেটা প্রবল টানে ছিঁড়ে ভাগ হয়ে যায়। আচ্ছা, এই ভাগটাই বা সবসময় একরকম হবে কেন? পাঁচখণ্ড না হয়ে মাঝে মাঝে চার কিংবা ছয়খণ্ড হলেই বা কী দোষ? এখানেই রয়েছে আসল রহস্য, বিজ্ঞানীরা এর মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন গনিতের ফর্মুলা।
সূত্রঃ (ইন্টারনেট থেকে নেয়া)