আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করার পর বিচারক তা খারিজ করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গন এবং এর বাহিরে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব এবং ডিবি পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় পুরো এলাকা। এ সময় আদালতের মধ্যে কোন প্রকার যানবাহন ঢোকতে দেয়া হয়নি। পাশাপাশি সেখানে আগতদেরকে বিভিন্নভাবে তল্লাশি করা হয়।
অন্যদিকে আদালতের এ আদেশের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আউয়াল সমর্থকেরা। দিতে থাকেন বিভিন্ন রকম স্লোগান।
এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান আউয়াল। পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে করা দুদকের আবেদন খারিজ করে আউয়ালের জামিন আদেশ বহাল রেখে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে তিনটি মামলা করেন। এর একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়েছে।
এ কে এম এ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দুইবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের সরকারি খাস জমি নিজের দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সাবেক এই সংসদ সদস্যর বিরুদ্ধে