এক সহপাঠীর মৃত্যু নিয়ে বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কয়েকশ শিক্ষার্থী রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে ক্যাম্পাসের ভিতরে বিক্ষোভ করেন। প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে অপসারণের দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিশুক খান গত ২৪ নভেম্বর সাভার থেকে ক্যাম্পাসে আসার পথে বাস থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।
“তার মৃত্যু নিয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের বরাত দিয়ে বলা হয়, মিশুক হৃদরোগে মারা গেছেন।”
বাস থেকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত মিশুক হৃদরোগে মারা যায়নি দাবি করে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ওই কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদও প্রথম আলোর প্রতিবেদনে তার বক্তব্য বিকৃত করে প্রকাশের কথা বলেছেন।
তিনি রোববার বলেন, “আমি বলেছিলাম শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আলী নূরের কাছ থেকে তথ্য যাচাই করার জন্য। আমি সঠিক তথ্য জানতাম না।
“প্রতিবেদকের সাথে আমার অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তবে যে বক্তব্য প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে তা আমি দিইনি।
“আমি যেভাবে বক্তব্য দিয়েছি সেভাবে ছাপানো হয়নি বলে ইতোমধ্যে প্রথম আলো পত্রিকায় প্রতিবাদলিপি দিয়েছি।”
ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর প্রক্টর বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার রাতে স্ট্রোক করেছিলেন মিশুক। পরে রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।