ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় জাপা নেতাকে মহাসড়কে ফেলে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা

মঠবাড়িয়ায় জাপা নেতাকে মহাসড়কে ফেলে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক জাতীয় পার্টি’র (এরশাদ) নেতাকে কুপিয়ে বাম পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শফিকুল ইসলামের মা মমতাজ বেগম বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় ৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে আহত ওই জাতীয় পার্টি নেতা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। ততে তিনি এখনও শংকামুক্ত নন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে।

মামলায় আসামিরা হলো, তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ছোট ভাই মো. নাসির হাওলাদার (৫০), চেয়ারম্যানের ছেলে শামীম হাওলাদার (৪২), ছোট মাছুয়া গ্রামের মৃত ছালাম হাওলাদারের ছেলে ছগির হাওলাদার (৪৫), মধ্য তুষখালী গ্রামের মৃত গণি আকনের ছেলে হাবিব আকন (৫৫), হাবিব আকনের ছেলে হুমায়ূন (২৫), তুষখালী গ্রামের জুলফিকার আলী শরীফের ছেলে খায়রুল ইসলাম মুছা শরীফ (৫০), ছোট মাছুয়া গ্রামের মৃত. আলী হোসেন পঞ্চায়েতের ছেলে বশির পঞ্চায়েত (৪২)।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে আটক হওয়া মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ছোট ভাই মো. নাসির হাওলাদারকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, জমি,ব্যবসা সংক্রান্ত ও তুষখালী ইউনিয়ন বাজারে দুইটি ভিটির মালিকানা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলাম এর দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। এ ঘটনায় বেশ কিছু মামলা মোকদ্দমা আদালতে চলমান। বৃহস্পতিবার সকালে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে শফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হন। একটি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল যোগে উপজেলা সদরের যাওয়ার পথে মহাসড়কের মাঝেরপুল সংলগ্ন স্থানে পৌঁছলে আসামিরা যাত্রীবাহী একটি মাহিন্দ্র গাড়ি এসে শফিকুলের মোটরসাকেলের পিছন থেকে পরিকল্পিত ধাক্কা মারে। এতে মোটরসাইকলে চালক ও আরোহী শফিকুল সড়কের পাশে পড়ে যান। এরপর সশস্ত্র অবস্থায় মাহিন্দ্র থেকে নেমে আসামিরা শফিকুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে। এছাড়া তার পেট ও শরীরের নানা স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সড়কে ফেলে দ্রুত মাহিন্দ্রযোগে তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত শফিকুলকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সফিকুলের অবস্থা শংকটা পণ্য গত দুই দিনেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা গেছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এ সন্ত্রাসী হামলার জন্য স্থানীয় তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার এর ছেলে,ভাই ও স্থানীয় সগীর মেম্বর গংদেও দায়ী করে এক বিবৃতিতে এ পৈশাচিক ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করেছেন।

পিরোজপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মো. ইব্রাহিম বলেন, অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, মামলার এজাহার নামীয় এক নম্বর আসামি তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ছোট ভাই মো. নাসির হাওলাদারকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...