ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা বর্ণাঢ্য আয়োজন মঠবাড়িয়ার রাজমন্দিরে

বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা বর্ণাঢ্য আয়োজন মঠবাড়িয়ার রাজমন্দিরে

দেবদাস মজুমদার :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কবুতরখালী গ্রামের রাজ মন্দির নামে এক পূজা মণ্ডপে এবার ২৫৫ প্রতীমার বর্ণাঢ্য সাজে এবার দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নের কবুতরখালী গ্রামের হালদার বাড়ির রাজ মন্দির অঙ্গন জুড়ে সর্বাধিক প্রতিমার সমন্বয়ে এ দূর্গা পূজার আয়োজন ইতিমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে সারা ফেলেছে। এবার পদ্মা সেতুর আদলের কাঠামোর ওপর মন্দির স্থাপন করে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
চিকিৎসক দম্পতির পারিবারিক উদ্যোগে এবার এ পূজা মণ্ডপে উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর থেকে তিন কিলো মিটার দুরে কবুতরখালী গ্রামের হালদার বাড়ির রাজমন্দিরের গিয়ে দেখা গেছে, এ বাড়ির রাজমন্দিরের আশপাশ এক একর জমিজুড়ে জুড়ে পৃথক ৫৫টি মন্দিরে সর্ব মোট ২৫৫টি নানা দেবদেবির প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ষষ্ঠী পূজা দিয়ে দূর্গা পূজা শুরু হয়ে উৎসব চলবে টানা পাঁচদিন। সেই সাথে এখানে মেলার আয়োজন চলছে। প্রতিবছরের মতো দেশের দুর দুরান্ত থেকে রাজ মন্দিরের এ পূজা দর্শনে সমবেত হবেন কয়েক লাখ মানুষ।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের ডা. সুদীপ কুমার হালদার ও ডা. স্নিগ্ধা চক্রবর্তী দম্পত্তির পারিবারিক আয়োজনে গত ১৪ বছর ধরে প্রতিবছর এ দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। এ বাড়ির রাজ মন্দির এর আশপাশ জুড়ে প্রায় এক একর জমিতে ৫৫টি মন্দিও নির্মাণ করা হয়েছে। এসব মন্দিরে এবার ২৫৫টি প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। এ মন্ডপেমূল দুর্গা প্রতিমার পাশাপাশি দেবদেবীর নান্দনিক মূর্তি দিয়ে চার হাজার বছরের পুরানো হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীকে তুলে ধরা হয়েছে। গত ১৪ বছর ধরে দুর্গোৎসবে হালদার বাড়ির রাজমন্দিওে এ ব্যতিক্রমী পূজামন্ডপ তৈরি করে থাকে। এ বছর ৫৫টি পৃথক মন্দির জুড়ে ২৫৫টি পুতিমার পূজার অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
এবার পদ্মা সেতুর আদলের কাঠামোর ওপর মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। এ সেতু মন্দিরের এক মাথায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। এ মণ্ডপে প্রতিমার কারিগর খুলনা কয়রা উপজেলার রিপন মণ্ডল জানান, তিনি বংশানুক্রমে প্রতীমা নির্মাণ করে আসছেন। ৫ লাখ টাকা মজুরীর চুক্তিতে তিনি এ মণ্ডপের প্রতীমা গড়েছেন। ৬জন সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে ৫ মাসের টানা পরিশ্রমে দেব-দেবীর ২৫৫টি প্রতিমা তৈরি করেছেন।

হালদার বাড়ির দুর্গাপুজা উদযাপনের প্রধান আয়োজক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী শৈলেশ্বর হালদার বলেন, বর্তমানে এ মণ্ডপ এ অঞ্চলে বৃহৎ দুর্গা মন্ডপে রূপ নিয়েছে। এলাকার লোক এভাবে ধর্মীয় সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ কম পান। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে নারী-পুরুষসহ সকল মানুষ এখানে পূজা উপভোগ করতে সমবেত হবেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, দুর্গোৎসব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সব পূজামন্ডপে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা উৎসব মুখর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে এ উৎসবকে উদযাপনে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কবুতরখালী গ্রামের রাজ মন্দির নামে এক পূজা মণ্ডপে এবার ২৫৫ প্রতীমার বর্ণাঢ্য সাজে এবার দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নের কবুতরখালী গ্রামের হালদার বাড়ির রাজ মন্দির অঙ্গন জুড়ে সর্বাধিক প্রতিমার সমন্বয়ে এ দূর্গা পূজার আয়োজন ইতিমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে সারা ফেলেছে। এবার পদ্মা সেতুর আদলের কাঠামোর ওপর মন্দির স্থাপন করে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
চিকিৎসক দম্পতির পারিবারিক উদ্যোগে এবার এ পূজা মণ্ডপে উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর থেকে তিন কিলো মিটার দুরে কবুতরখালী গ্রামের হালদার বাড়ির রাজমন্দিরের গিয়ে দেখা গেছে, এ বাড়ির রাজমন্দিরের আশপাশ এক একর জমিজুড়ে জুড়ে পৃথক ৫৫টি মন্দিরে সর্ব মোট ২৫৫টি নানা দেবদেবির প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ষষ্ঠী পূজা দিয়ে দূর্গা পূজা শুরু হয়ে উৎসব চলবে টানা পাঁচদিন। সেই সাথে এখানে মেলার আয়োজন চলছে। প্রতিবছরের মতো দেশের দুর দুরান্ত থেকে রাজ মন্দিরের এ পূজা দর্শনে সমবেত হবেন কয়েক লাখ মানুষ।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের ডা. সুদীপ কুমার হালদার ও ডা. স্নিগ্ধা চক্রবর্তী দম্পত্তির পারিবারিক আয়োজনে গত ১৪ বছর ধরে প্রতিবছর এ দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। এ বাড়ির রাজ মন্দির এর আশপাশ জুড়ে প্রায় এক একর জমিতে ৫৫টি মন্দিও নির্মাণ করা হয়েছে। এসব মন্দিরে এবার ২৫৫টি প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। এ মন্ডপেমূল দুর্গা প্রতিমার পাশাপাশি দেবদেবীর নান্দনিক মূর্তি দিয়ে চার হাজার বছরের পুরানো হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীকে তুলে ধরা হয়েছে। গত ১৪ বছর ধরে দুর্গোৎসবে হালদার বাড়ির রাজমন্দিওে এ ব্যতিক্রমী পূজামন্ডপ তৈরি করে থাকে। এ বছর ৫৫টি পৃথক মন্দির জুড়ে ২৫৫টি পুতিমার পূজার অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
এবার পদ্মা সেতুর আদলের কাঠামোর ওপর মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। এ সেতু মন্দিরের এক মাথায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। এ মণ্ডপে প্রতিমার কারিগর খুলনা কয়রা উপজেলার রিপন মণ্ডল জানান, তিনি বংশানুক্রমে প্রতীমা নির্মাণ করে আসছেন। ৫ লাখ টাকা মজুরীর চুক্তিতে তিনি এ মণ্ডপের প্রতীমা গড়েছেন। ৬জন সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে ৫ মাসের টানা পরিশ্রমে দেব-দেবীর ২৫৫টি প্রতিমা তৈরি করেছেন।

হালদার বাড়ির দুর্গাপুজা উদযাপনের প্রধান আয়োজক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী শৈলেশ্বর হালদার বলেন, বর্তমানে এ মণ্ডপ এ অঞ্চলে বৃহৎ দুর্গা মন্ডপে রূপ নিয়েছে। এলাকার লোক এভাবে ধর্মীয় সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ কম পান। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে নারী-পুরুষসহ সকল মানুষ এখানে পূজা উপভোগ করতে সমবেত হবেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, দুর্গোৎসব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সব পূজামন্ডপে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা উৎসব মুখর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে এ উৎসবকে উদযাপনে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...