আজকের মঠবাড়িয়া সত্য প্রচারে সোচ্চার 
পিরোজপুর প্রতিনিধি 🔻
এনজিও ঋণ পরিশোধ না পারায় ও পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী তাহমিনা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী সত্তার শেখ। গতকাল শুক্রবার ভোর রাতের যে কোন সময় পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী সত্তার শেখ কে আটক করেছে পুলিশ বলে জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। নিহত তাহমিনা বেগম (৪৫) এর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে সদর থানা পুলিশ।
আটক সত্তার শেখ (৫০) পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের মৃত জোনাব আলী শেখের পুত্র।
নিহত তহমিনার ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, তার বাবা তার মায়ের নামে স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা সুদে ঋণ নিয়ে ছিলো। এই ঋণ পরিশোধ নিয়ে বিভিন্ন সময় পারিবারিক সমস্যা হতে ছিলো এবং তার বাবা সত্তার শেখ প্রায় সময়ই তার মা তাহমিনাকে মারধর করতো। বৃহস্পতিবার তাদের নিজস্ব একটি অটোরিক্সা তার বাবা বিক্রিয় করার জন্য নিয়ে যায়। পরিবারের অন্যরা তা বিক্রয় না করতে দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় তার বাবা সত্তার তার মাকে সন্ধ্যা থেকেই নানা হুমকি দিয়ে আসছিলো বলে রাতে তার মা তহমিনা তাদের জানান। রাত ১২ টা পর্যন্ত সন্তানরা মায়ের সাথে কথা বলে তারা পাশেরই অন্য ঘরে ঘুমাতে যায়। পরে সকালে তার বোন সনিয়া ঘরে গিয়ে তার মাকে ডাকলে মায়ের কোন সাড়া না পেয়ে দেখে ঘরের সামনে তালা মারা দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা ঘরের তালা ঘুলে তার মায়ের রক্তাক্ত দেহ খাটের উপর পরে থাকতে দেখে। স্থানীয় লোকজন পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চাঁন জানান, এনজিওর ঋণ পরিশোদের কিস্তি দেয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের পরিবারের নানা ঝগড়া হতো। মুলত ঋণের টাকা পরিশোধের সমস্যা নিয়েই এ হত্যা কান্ড ঘটতে পারে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ জ মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনার পরপরই কৌশলে ঘাতক স্বামী সত্তার শেখেকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।
