মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔻
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন পণ্ড করে দেয় প্রশাসন। এ সময় দুই পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয় মুচলেকা। এরপর সবাই চলে যায় নিজ বাড়িতে। কিন্তু রাতে ওই কিশোরীকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায় বরপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে পশ্চিম রাজপাড় গ্রামের দেলোয়ার হোসেন লিমনের (৩০) বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। দুপুরে বরপক্ষ আসে। সেখানে মেহমান হিসেবে খাওয়াদাওয়া করেন চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সরকারি অনেক কর্মকর্তা।
বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহমেদের নির্দেশে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় কনেবাড়ির বিয়ের গেট ভেঙে দেওয়া হয়।
এ সময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেনের উপস্থিতিতে কনের প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাবার বাড়িতে থাকবে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করবে না মর্মে বর মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ফেরেন। প্রশাসনের লোকজন চলে যাওয়ার পর রাতে বরপক্ষ কনের বাড়ি এসে বাল্যবধূকে নিয়ে যায়। এতে সম্মতি দেয় কনের পরিবার।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহম্মেদ বলেন, মুচলেকা দেওয়ার পরও বর ওই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।