মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মতলেব গং ও নাসির গংদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মতলেব শিকদার (৭৫), আব্দুল হক শিকদার (৪৫), হাবিব শিকদার (৬০), খলিল শিকদার (৫৮), মজিবর শিকদার (৪৮), ইউনুস শিকদার (৫২), আলতাফ হোসেন সাইদ (৩১), রহিমা বেগম (৬০), বারেক (৩৩), নাজমা বেগম (৪০), দেলোয়ার হোসেন (২৯), সেকান্দর (৫৫), ছগির হোসেন (৩৫), সাফিয়া (৬১), কোহিনুর আক্তার (৩০), কহিনুর বেগম (৬০)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’পক্ষের ৮ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) প্রেরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত দৌলত শিকদারের ছেলে মতলেব শিকদার গংদের সাথে একই গ্রামের মৃত হামেজ হাওলাদারের ছেলে নাসির হাওলাদার গংদের ৯ একর ২৪ শতাংশ আবাদী জমি নিয়ে দীর্ঘ ৬০/৬৫ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধীয় ওই জমি নিয়ে ১৯৬১ সালে পিরোজপুর দেওয়ানী আদালতে মামলা হলে ওই মামলায় মতলেব শিকদার গংরা ডিক্রি প্রাপ্ত হন। প্রতিপক্ষ নাসির হাওলাদার গংরা ডিক্রি বাতিল চেয়ে ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে পিরোজপুর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা করেন। দেওয়ানী মামলাটি চলমান রয়েছে। এদিকে, মতলেব শিকদার গংদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ নাসির হাওলাদার গংরা বাধা দেয়। বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে নাসির গংরা দাও, রামদা, কুড়াল নিয়ে মতলেব গংদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। প্রতিপক্ষের হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ প্রীতম কুমার পাইক জানান, প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত আব্দুল হকের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, ১৯৬১ সালে আদালতের ডিগ্রি মূলে মতলেব গংরা ৬০/৬৫ বছর ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ওই জমি ভোগদখল করে আসছে। প্রতিপক্ষ নাসির হাওলাদার গংরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নুরুল ইসলাম বাদল জানান, জমির বিরোধে এ হামালার ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে থানা পুলিশ নাসির হাওলাদার ও তার পুত্র ছগির ও আইয়ুব কে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলা দয়েরের প্রক্রিয়া চলছে।