ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূল - গ্রামে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধে প্রচারণা

গ্রামে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধে প্রচারণা

 

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি <>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা গ্রামের বাড়ি ফিরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গ্রামের সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ১৪জন শিক্ষার্থী স্ব-প্রণোদিত হয়ে সম্মিলিতভাবে এ সামাজিক উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন। শিক্ষার্থী নিজ এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে লিফলেট বিতরণেরে পাশাপাশি কাউন্সেলিং করছেন।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজএর ২০১৭ সালের এসসিসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। এসকল শিক্ষার্থী চলমান করোনা আতংকে অন্য সকল শিক্ষার্থীদের মতোন গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এলাকার এমন ১৪জন শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসে আতংকগ্রস্ত নিজ এলাকার সাধারণ মানুষকে সচেতন ও পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ নেন। গত কয়েকদিন ধরে এসব শিক্ষার্থীরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে করোনা প্রতিরোধে আগাম সতর্কতার বিষয়ে প্রচারপত্র বিলিসহ মানুষকে কাউন্সেলিং করে চলেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম মীম এর নেতৃত্বে এ টীমে যুক্ত আছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার, সহপাঠি আরিফ হোসেন, তন্ময় মিত্র, তানজিম তামিম, চৈতি আক্তার, তাহসান ইসলাম, মাছুম বিল্লাহ, মোহাম্মদ আরিফ, তীর্থ বেপারী, সাইফুল ইসলাম, সানজিদা ইসলাম, হাসান মৃধা, সাবিনা আক্তার। এ সহপাঠি শিক্ষার্থীরা গত দুই দিনে স্থানীয় নাগ্রাভাঙা,ওয়াহেদাবাদ ও মিরুখালী গ্রামের অন্তত ৩০০ পবিারের মানুষের দ্বারে গিয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন।

শিক্ষার্থীদের স্ব-প্রণোদিত এমন মহতী সামাজিক উদ্যোগকে এলাকার মানুষ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
স্থানীয় ওয়াহেদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. পারভেজ তালুকদার বলেন, দেশ ও মানুষের সংকটে শিক্ষার্থীরা যদি সম্মিলিত হয়ে এমন সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে তাহলে আমরা অবশ্যই ভালো থাকবো। মেধাবি এসব শিক্ষার্থীরাই আমাদের আগামী ভবিষ্যত। তাদেরও সংকটে সামাজিক দায় আছে। তারা যে কাজটি করছে তা প্রশংসনীয়।

এ প্রচারণা কাজে শিক্ষার্থী টীমের প্রধান সমন্বয়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম মীম বলেন, করোনা ভাইরাস আতংকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারনে আমাদের বাড়ি ফিরতে হয়েছে। আমার এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সহপাঠিরা বসে মানুষের এ সংকটে পাশে দাড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি একা ভালো থাকা ভালো নয় সমাজের মানুষ সকল ভালো থাকাই জরুরী। আমরা আমাদের নিজের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এলাকার গ্রামের বাড়িবাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করা চেষ্টা করছি । এ মূহুর্ত মানুষ নিরাপদে রোগমুক্ত থাকা ভিষণ জরুরী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, আমরা ১৪ সহপাঠি মিলে কাজটি শুরু করেছি। চেষ্টা চলছে আমার ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী যারা দেশের দুরদুরান্তে পড়ালেখা করছে তাদের সকলকে একত্র করে টীম ভাগ করে মানুষের পাশে দাড়াবো। আমরা যতদিন সুযোগ পাবো এ কাজটা আমরা সম্মিলিতভাবে চালিয়ে নিতে চাই ।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মিরুখালী স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন খান বলেন, করোনা ভাইরাস আতংকে ভুগছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। এসব মানুষ অসচেতন। তাদের পাশে গিয়ে আমাদের সকলের উচিত সচেতন করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে যে মহতী উদ্যোগ নিয়ে সত্যি আমি আশাবাদি । তাদের মহতী কাজটি যাতে তারা নির্বিঘ্নে করতে পারে তার সব সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...