মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না মেধাবী ছাত্র বিন্দু মনি। আজ সোমবার ভোর ৪টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোরেলগঞ্জগামী যাত্রীবাহী স্টিমার পিএস মাহসুদ বরিশাল এলে ও বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা গামী লঞ্চ সুরভী-৭-এর মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ যাত্রী নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে মঠবাড়িয়ার বিন্দু মনি একজন।
এস.এম. বিন্দু মনি (২২) ঢাকা সাইফ প্যারা-মেডিকেলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বিন্দু মঠবাড়িয়া কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলার সাপলেজা গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে। দুই সন্তানের মধ্যে বিন্দু বড়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে বিন্দু মনি মা-বাবার সাথে ঈদ করার জন্য পাঁচ মাস পর ঢাকার সদরঘাট থেকে স্টিমারযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। রাতে তার মায়ের সাথে কয়েক দফা মোবাইল ফোনে কথাও হয়। কেবিন না পেয়ে স্টাফ কেবিনে ৪-৫ জনে মিলে জায়গা পেয়েছেন বলে তার মাকে জানান। কিন্তু বিন্দু মনি’র মায়ের কাছে আর ফেরা হলো না। সকালে ফেসবুকে সহপাঠীরা লঞ্চ-স্টিমারের সংঘর্ষে নিহতদের ছবি দেখে বিন্দু মনিকে চিনতে পারে। সহপাঠীরা বিন্দুর বাড়িতে এ খবর জানালে তার মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বাবা মজিবুল হক স্বজনদের নিয়ে বরিশালে ছুটে যান।
এদিকে পৌর শহরের নিউমার্কেট এলাকার বাসায় স্বজনের অকাল মৃত্যুতে বিন্দুর মা ও বোনের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। শান্ত স্বভাবের ভদ্র ছেলেটির মৃত্যুও খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।