জনাব চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো,
ঐতিহ্যবাহী ১০ নং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আপনার প্রতি রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। মানুষ যে বিশ্বাস, ভালাবাসা এবং আস্থা রেখে আপনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে আশাকরি মানুষের সে বিশ্বাস আপনি আপনার জীবনের সকল সুখের বিনিময়ে হলেও রক্ষা করবেন। একজন সত্যিকারের রাজনীতিবিদের কাছে মানুষ এটাই প্রত্যাশা করে। আমার বিশ্বাস আপনি এর ব্যতিক্রম হবেন না।
অতীতে জনপ্রতিনিধিদের সাথে এলাকার মানুষ ছাড়া অন্যদের তেমন যোগাযোগ করা সম্ভব ছিলনা। কিন্তু এখন এই ডিজিটাল যুগের শ্লোগানই হচ্ছে “দূরত্ব যতই হোক কাছে থাকুন”। তাই আমরা যারা এলাকা থেকে দূরে বসবাস করছি এমনকি যারা প্রবাসী তারাও এখন ইচ্ছে করলে সহজেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে।
আজ আমি এই সুযোগটাই নিলাম। অর্থাৎ ইউনিয়নবাসীদের পক্ষ থেকে আমার সামান্য কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় দাবিটা অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে জানালাম।
আপনি নিজেও জানেন গুলিশাখালী বাজারের চারদিকের প্রায় দুই হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে ভীষণ ভাবে ভুগছে। বিশেষ করে বাজারের মধ্যে অবস্থিত প্রতিটি খাবারের হোটেল কিম্বা চায়ের দোকানে বিশুদ্ধ পানির অভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারী পুকুরের পানি যা মোটেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। গুলিশাখালীতে যে তিনটি স্কুল রয়েছে সেখানেও রয়েছে খাবার পানির সঙ্কট। যদিও স্কুল গুলোতে বাজার থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আমার নানা বাড়ি থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়। যা সত্যিই অনেক ঝামেলার।
তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ রইলো, আপনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করে এই পানির সমস্যা দ্রুত সমাধান করে দিবেন।
ভাল থাকুন এবং আমাদেরকেও ভাল থাকার সুযোগ দিবেন- এই প্রত্যাশা নিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
ইতি,
আপনার স্নেহাশীষ রাসেল সবুজ, গুলিশাখালী।