পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ও টানা বৃষ্টিতে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের আধাপাকা ধান ক্ষেত নেতিয়ে পড়েছে। গত শনিবার থেকে জাওয়াদের প্রভাবে এক টানা তিন দিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও সোমবার দিনভর ভারী বর্ষনে আমন ধানের ক্ষেত নেতিয়ে পড়েছে। এছাড়া শীতকালিন সবজি ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি আশংকা দেখা দিয়েছে। এ বছর মঠবাড়িয়া উপকূলীয় অঞ্চলের আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন কৃষকরা। বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় মাঠের আধাপাকা ধান নিয়ে কৃষকরা এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, এ বছর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ও ৩৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ করা হয়েছে। মাঠের ধান কেবল সোনা রঙ ধরতে শুরু করেছে। মাঠভরা সোনালী ধানের ফলন আগামী ১৫দিনের মধ্যেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষায় ছিলেন। গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতে ধান ক্ষেত নেতিয়ে পড়ায় ব্যাপক ফসলহানীর আশংকায় কৃষকের মুখ এখন মলিন।
উপজেলার বেতমোড় রাজপাড়া গ্রামের কৃষক মো. হারুন জানান,এবছর তারা আমন ধানে বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন। কিন্তু আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান পচে চিটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের মো. বশির হোসেন বলেন, এবার আমন ধানের তো বাম্পার ফলন ফলাইছিলাম। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে মাঠ লণ্ডভণ্ড এখন। আধাপাকা ধানের গাছ হেলে পড়েছে। কোথাও নিচু মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত রোদ না উঠলে মাঠের আধাপাকা ধান পচে নষ্ট হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকাত হোসেন বলেন, হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় আমন ধানের কিছুটা ক্ষতির আশংকা রয়েছে। কি পরিমান ক্ষতি হবে তা নিরুপণ করতে দুই একদিন সময় লাগবে। এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা । দুই একদিনের মধ্যে আবহাওয়ার উন্নতি হলে , রোদ উঠলে ক্ষতির পরিমান কমবে।