কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি <>
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় মৃত্যুর চার মাস পর ময়না তদন্তের জন্য মো.সজিব জমাদ্দার (২৬) নামের এক যুবকের লাঁশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার এম,এম আদালতে মামলা করলে, তদন্তের সুবিধার্থে লাঁশ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত।
আদালতের আদেশে গতকাল বুধবার (২অক্টোবর) দুপুরে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের আবাশিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামরুজ্জামান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির ডিবির এসআই মোহাম্মদ বাবুল মিঞা ও এএসআই মো.রুহুল আমিনের উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মো.সজিব জমাদ্দার উপজেলার উত্তর চেচরী গ্রামের মো.নুরু জমাদ্দারের ছেলে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, সজিব জমাদ্দার ঢাকার চকবাজার এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে বসবাসের সুবাধে আলাউদ্দিন নামের নামের ব্যক্তির সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্কে আসামীদের বাসায় যাওয়া আসা করত সজিব। সজিব বিবাহিত জেনেও আলাউদ্দিন মিয়া তার মেয়ে তানিয়ার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সজিব বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করলে এনিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জেরে গত ২১ জুলাই দুপুরে আসামীরা সজিবকে কৌশলে তাদের বাসায় ঢেকে নিয়ে দরজা আটকে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাহ্য পদার্থ দিয়ে এবং লোহার রড পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ জুলাই সজিব মারা যায়। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় লাঁশ ময়না তদন্ত ছাড়াই এলাকায় পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে গত ২১আগস্ট ঢাকার এমএম আদালতে একটি নালিশী মামলা (নং-৫১৭) দায়ের করেন। মামলায় ঢাকার চকবাজার এলাকার আলাউদ্দিন (৪৫) মো. এরফান (২০) এবং তানিয়া আক্তার মীম (১৮) কে আসামী করা হয়।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করার জন্য চক বাজার থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। চক বাজার থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করে। মামলার ১ মাস পর সেপ্টেম্বর মাসে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ডিবি পুলিশকে।