বিশেষ প্রতিনিধি > পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জেসমীন বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের হরিণপালা গ্রামের জনৈক হায়দার আলীর পরিত্যক্ত বসতবাড়ির বাগানের একটি গাছের ডালের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর মিঠাখালী গ্রামের কৃষক মো. শাহ জালালের স্ত্রী। সে তিন সন্তানের জননী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের গৃহবধূ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার বিকেলে গৃহবধূর রোগমুক্তির জন্য স্বামী শাহ জালাল ও পরিবারের লোকজন তাকে পার্শ্ববর্তী ভাণ্ডারিয়ার হরিণপালা গ্রামের ফকির আনোয়ার হুজুরের বাড়িতে ঝাড়ফুঁকের জন্য নিয়ে যান। ওই দিন সন্ধ্যার পর সেখানে সবার অগোচরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন জেসমীন। তার সন্ধান না পেয়ে রাতেই গৃহবধূ নিখোঁজের বিষয়ে এলাকায় মাইকিং করলেও তার সন্ধান মেলেনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হরিণপালা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বাগানের রেইনট্রি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় গ্রামবাসী লাশটি পায়। খবর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম ফারুক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ওই গৃহবধূ অনেক দিন ধরে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ ছিলেন। আরোগ্য লাভের জন্য তার পরিবার তাকে এক ফকিরের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নিখোঁজ হন। পরে তার লাশ উদ্ধারের খবর পাই। পরিবারের স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশকে আবেদন করে। তবে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।” এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।”