মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔴🟢
পিরোজপুরের কাউখালীতে সন্ধ্যা নদীর অব্যহত ভাঙনের মুখে আমরাজুড়ী বাজার ও স্বরূপকাঠী-কাউখালী সড়ক সংযোগকারী ফেরীঘাটটি হুমকীর মুখে পড়েছে। গত কয়েকদিনে নদীর প্রবল স্রোতে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমড়াজুড়ী বাজারের কমপক্ষে ৩০/৩৫টি বিভিন্ন স্থাপনা সন্ধ্যা নদী গর্ভে চলে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙনের ক্ষিপ্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমড়াজুড়ী বাজারের দোকান, বাড়িঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাবার পথে। নদী ভাঙনের কারণে কয়েকদফা ফেরিঘাট স্থানান্তর করতে হয়েছে। ফেরিঘাট থেকে পিরোজপুর থেকে গড়িয়ার পাড় হয়ে বরিশাল-ঢাকা-বানারিপাড়া-নেছারাবাদ-কাউখালী-পিরোজপুর-বাগেরহাট সহ খুলনা সড়ক পথে যাতায়াত নির্ভশীল। কয়েকমাস আগে ভাঙন কবলিত স্থানে পাইলিং দিয়ে বালুর বস্তা ফেললেও শেষ রক্ষা হচ্ছেনা আমরজুড়ী ফেরীঘাট ও বসতবাড়ি, দোকান পাট, মসজিদ, বাজার, ফেরীঘাট।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহ জামাল ও ফেরীঘাট জামে মসজিদের ইমাম গাজী আনোয়ার হোসেন জানান, তিন নদীর মোহনায় আমরাজুড়ী ফেরীঘাট হওয়ায় বারবার ভাঙনের মুখে পড়ছে। কয়েকদফা পাইলিং দেওয়া হলে তা ভাঙন রোধে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে আমরাজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সী বলেন,, অবিলম্বে বেরিবাঁধ ও ব্লক স্থাপন না করা হলে আমরাজুড়ী জনপদ ও কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়া বাজার ও ফেরীঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন রেখা বলেন, সন্ধ্যা নদীর ত্রিমোহনা পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন কবলিত। উল্লেখিত নদী তীর এলাকায় কার্যকর বেরিবাধ ও বল্ক নির্মাণ জরুরী । জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে অবহিত করা হয়েছে।