মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
এক কৃষককে অজ্ঞাত দুবর্ৃত্তরা রাতের আঁধারে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার পর অজ্ঞাত দুবৃত্তরা নিহত ওই কৃষকের লাশ গ্রামের সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আজ বুধবার গ্রামবাসি সড়কে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের সড়ক থেকে নিহত ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় ইউনিয়ন বাজারে সেচ মেশিন কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি।
নিহত কৃষক সোবাহান প্যাদা উপজেলার দক্ষিণ কবুতরখালী গ্রামের মৃত তুজাহার আলী প্যাদার ছেলে। সে সাত সন্তানের জনক।
নিহত কুষকের বড় ছেলে রফিকুল প্যাদা জানান, মঙ্গলবার বিকালে সে তার পিতার সঙ্গে সেচ মেশিন কিনতে বাজাওে যায়। সেচ মেশিন কিনে রাত আটটার দিকে কৃষক সোবাহান তার ছেলেকে সেচ মেশিন নিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর রাতে আর তিনি বািড়িতে ফিরে যাননি। আজ বুধবার উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের সড়কে তার রক্তাক্ত জখমসহ লাশ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসি থানায় খবর দেন। পরে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত কৃষকের স্কুল পড়–য়া মেয়ে সাদেকা আক্তার বলেন, আমরা আব্বার সাথে গ্রামের কারো সাথে কোনও বিরোধ ছিলোনা। তবে দুই মাস আগে আমার ভাইকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন আমার আব্বা। এরপর ওই যুবকেরা তাকে হুমকী ধামকি দেয়। একবার আব্বাকে মারধর করতেও আসছিলো। আমার আব্বার হত্যার আমরা বিচার চাই।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান লাশ উদ্ধারের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত কৃষকের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই কৃষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত কওে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।