ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূল - সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে আমদের করণীয়

সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে আমদের করণীয়


দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ সিগারেট ও মাদকাসক্ত। মাদক হচ্ছে যাবতীয় অপকর্মের চাবিকাঠি। এ সর্বনাশা মাদকের ব্যবহার রোধ করা একান্ত আবশ্যক। পশ্চিমা বিশ্বে মাদকের ব্যবহার এখন তুঙ্গে।আমাদের দেশে সে তুলনায় অনেকটা কম। তবে মাদকের ব্যবহার জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তা নাহলে এটাকে সামাল দেয়া কাঠিন হবে। এ সমস্যা সমাধানের জন্যে নিন্মোক্ত ব্যবস্হা গ্রহণ না যেতে পারে।
১/ জাতীয়ভাবে সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করতে হবে।জাতীয় দিবসে এ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মাদক বিরোধী চেতনা সৃষ্টি করতে হবে।
২/ কিশোর, তরুণ ও যুব সমাজকে এ সর্বনাশা নেশা থেকে রক্ষা করতে বেতার ও টেলিভিশনসহ জাতীয় প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
৩/ মাদক উৎপাদন, বিপনন,পরিবহন,চোরাচালান ও সেবন সম্পূর্নরুপে বন্ধ করতে হবে।
৪/ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
৫/ বেকার যুবকদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্হা করতে হবে।
৬/ মাদক সেবনের অপকারিতা সম্পর্কে ৫ম শ্রেণি থেকে স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য তালিকাভূক্ত করতে হবে এবং শিক্ষকগণ আদেশ ও উপদেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চরিত্র, আচরণ এবং মাদকমুক্ত চেতনা গড়ে তুলবেন।
৭/ মাদক প্রতিরোধের জন্যে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৮/ প্রশাসন, সুশীল সমাজ, অভিভাবক, শিক্ষক, সমাজ সেবক এবং রাজনীতিবিদ সবাইকে সচেতন হতে হবে।
৯/ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধি করতে হবে এবং তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্হা করতে হবে।
১০/ মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন -১৯৯০ এর সংশোধন করে কঠোর বিধি প্রনয়ণ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
১১/ মাদকাসক্তি চিকিৎসা বিঞ্জানের আওতায় নয়।এটি একটি সর্বনাশা সামাজিক ব্যাধি।চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনের উপর ভরষা করা যাবে না।বিষয়টি সামাজিক দিক দিয়ে বিচার-বিবেচনা করতে হবে।
১৩/ মাদক বিক্রেতাদেরকে আইনের আওতায় আনয়ন করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্হা করতে হবে।
১৪/ পিতা-মাতা এবং পরিবারের সবাইকে মাদকের অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সন্তানদেরকে মাদকের অপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে এবং সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করাতে হবে।
১৫/অপসংস্কৃতি ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে।
১৬/ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং মিডিয়া কর্মীদের সচেতন হতে হবে এবং মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
১৭/ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর সভার মেয়র,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর, পৌর সভার কাউন্সিলর, গ্রাম পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, কমিউনিটি পুলিশের সদস্য এবং গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিগণকে মাদক প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
১৮/ প্রত্যেক গ্রাম, পাড়া,ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী কমিটি গঠন করতে হবে।
১৯/ মাদক দমনে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। কারণ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশ মাদক ব্যবসার
সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এদেরকে আইনের আওতায় আনয়ন করতে হবে।
২০/ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করতে হবে।
২১/সীমান্ত দিয়ে যাতে মাদক দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যে আমাদের বর্ডার গার্ডের সদস্যদের সদা সতর্ক থাকতে হবে।
সুখী ও সুন্দর সমাজের জন্যে মাদক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই করতে হবে।সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম করতে হবে। এজন্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগ,সামাজিক ও জাতীয় প্রতিরোধ একান্ত আবশ্যক। আসুন, আমরা প্রতিঞ্জা করি,মাদক মুক্ত দেশ গড়ি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আপনি এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্হা গ্রহণ করুন এবং দেশের ভবিষ্যৎ কিশোর, তরুণ, ও যুব সমাজকে রক্ষা করুন। আল্লাহ হাফিজ।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...