ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - মঠবাড়িয়ায় ৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে মানুষকে

মঠবাড়িয়ায় ৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে মানুষকে


মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় বলেশ্বর নদ তীরবর্তী ঝুঁকির্পূণ এলাকার মানুষদেও সন্ধ্যার আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে প্রশাসন তৎপরতা শুরু করেছে।
এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এই
দুর্যোগের সম্ভাব্য আঘাত হানার বিষয়ে মেগাফোনে জনগণকে আগাম সতর্ক বার্তা দেয়া হচ্ছে। উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তুষখালী,বড়মাছুয়া, আমড়াগাছিয়া,সাপলেজা, বেতমোড় ইউনিয়নে সতর্ক সংকেত হিসেবে লাল
পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব এলাকায় সব ধরণের প্রস্ততি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশাসন কাজ শুরু করেছেন।
আজ মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি ভৌমিক এর সভাপতিত্বে ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি, ঘুর্ণিঝর প্রস্ততি কর্মসূচির (ঈচচ) ইউনিট টিম লিডার ও ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণদের নিয়ে প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় তারা সংশ্লিষ্ট গ্রাম গুলোর মানুষজনদেও আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে তৎপরতা চালান। সন্ধ্যার আগেই বাধ সংলগ্ন বসতির মানুষকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা তৎপর রয়েছেন।
জানাগেছে,উপজেলার ৫৯টি সরকারি সাইক্লোন সেন্টার এবং বেসরকারি পর্যায়ের ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে স্কুল ,কলেজ ও মাদ্রাসা ভবন ও ২০৫টি প্রাথমিক স্কুল দুর্যোগ কবলিত জনগণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলায়
সিপিপির মোট ১১৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তত রয়েছেন।
বিকাল তিনটার পর থেকেই মঠবাড়িয়া উপকূলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্রাহী কর্মকর্তা উর্মী ভৌমিক বলেন, প্রতিটা ঘূর্ণিঝড়ে এখানকার বলেশ্বর তীরের বসতির মানুষজন ভিষণ ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। বিশেষ করে, বলেশ্বর নদীর খেতাছিড়া মোহনা বাধ, বড়মাছুয়া মোহনা বাধ ও বলেশ্বর নদীর মাঝের চরের জেলে বসতির মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্র নেওয়া হচ্ছে। তাদেও জন্য শুকনা খাবার সুপয়ে পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমেকে জানান, জেলার ৭ উপজেলায় ৫৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থাকার জন্য উপযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে যথাযথবাবে বিদ্যুৎ সংযোগ, পানির ব্যবস্থা ও পয়:নিষ্কাসনসহ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকা ও চর এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়েযাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে আসা সকলকে মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ আঘাত হানার পরপরই জরুরী চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ৬০ টি মেডিকেল টিম ও বিভিন্ন স্তরের ১৭৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান জানান, সুপার সাইক্লোন
‘আম্পান’ মোকাবিলার জন্য জেলার প্রতি থানার ওসিদের স্থানীয়দের নিরাপত্তাসহ
সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে পুলিশকে পাহারার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...