দেবদাস মজুমদারঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত সরকারী সহায়তার ঢেউটিন ক্রয় ও বিক্রয়ের দায়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার অর্থদÐাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিরোজপুর ও সহকারী কমিশনার মো.সাইফুর রহমান বুধবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে সরকারী সহায়তার ঢেউটিন ক্রয় বিক্রয়ের অপরাধে উভয়কে ১৫ হাজার টাকা অর্থদÐাদেশ দেন।
এর আগে গোন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ধনীসাফা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সাফ গ্রাম থেকে রুবেল মল্লিক (৩০) এর নির্মানাধীন ঘরের সামনে থেকে ও তার বাবা ফারুক মল্লিকের ঘরের পিছন থেকে ত্রানের ১বান(৮পিস) ডেউটিন উদ্ধার করে পুলিশ।
জানাগেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলার সাফা গ্রামের হাসেম হাওলাদারের ছেলে ভ্যান চালক কবির হাওলদারকে সহায়তা হিসেবে এক বাÐিল ডেউটিন বিতরণ করা হয়। পরে ওই ভ্যান চালক একবান ঢেউটিন অর্থকস্টে পড়ে একই গ্রামের রুবেল মল্লিকের নিকট বিক্রয় করে দেন। সরকারি টিন বিক্রয়ের খবর পেয়ে বুধবার রাতে পুলিশ ক্রেতা রুবেল মল্লিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টিন উদ্ধার করে। ওই টিন ক্রয়য়ের কথা স্বীকার করে কবির। পরে তাদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থিত করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিরোজপুর ও সহকারী কমিশনার মো.সাইফুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতে ত্রানের সরকারী টিন ক্রয় বিক্রয় করার অপরাধে ক্রেতা রুবেলকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বিক্রেতা কবিরকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদÐ প্রদান করেন।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিলন তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সময় আমি কর¥স্থলে উপস্থিত ছিলাম না। এসে জানতে পারি উপজেলা পরিষদ থেকে ভ্যান চালক কবিরকে দেয়া ১বান টিন করোনায় অভাবগ্রস্থ হয়ে রুবেল মল্লিকের কাছে বিক্রি করেছে। সরকারি সহায়তার টিন বিক্রয় করা বেআইনি। পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিন উদ্ধার করেছেন ।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল হক জানান, উদ্ধারকৃত টিন সরকারি সহায়তা হিসেবে ভ্যানচালককে দেয়া হয়েছিল। প্রতিটি টিনে ত্রানের জন্য, বিক্রয়ের জন্য নহে লেখা এ টিন সে অন্য আরেক জনের কাছে বিক্রয় করে দেন।