ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - কৃষি ও বাণিজ্য - হাটের সামাজিক দূরত্ব বজায়ে সকলে এগিয়ে আসুন

হাটের সামাজিক দূরত্ব বজায়ে সকলে এগিয়ে আসুন

দেবদাস মজুমদারঃ করোনা সংক্রমন রোধে আমাদের মঠবাড়িয়ায় এখন বড় প্রতিবন্ধকতা হাট-বাজারের জনসমাগম। চলমান সংকটে হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ(প্রশাসন-১) এর উপসচিব ড. জুলিয়া মঈন সাক্ষরিত একটি চিঠি গত ১২এপ্রিল প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠি জেলাপ্রশাসক,জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় পৌর মেয়র, উপজেলা,চেয়ারম্যান,চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে ওই চিঠি সংশ্লিষ্ট সকলকে দেওয়া হয়। থানার প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপরও মঠবাড়িয়ায় হাট বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি।
এ জনপদের একজন অতি সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার কিছু প্রশ্ন
📍১. মঠবাড়িয়ায় পৌর শহরসহ ১১ ইউনিয়নের ছোট বড় মিলিয়ে ১৫০টি হাট রয়েছে সকল হাটে ইউএনও,সেনা সদস্য আর পুলিশ্ও বিরামহীন ভাবে ছুটে গেলেন। আপনারা হাট বন্ধে কোথাও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সরব কোনও ভূমিকা দেখেন কেউ ?
📍 এমন একটা সংকটকালে স্থাণীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কোন সমন্বয়হীনতার অভাবে এমন হলো কিনা ?
📍 গ্রামের হাট বাজার বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ইজারাদারদের দায়িত্ব বর্তায় কিনা ?
📍 মানুষের জীবন মরণ সংকট মোকাবেলায় সব দায়িত্ব কারও একার কিনা ?
📍 এত প্রচারণা আর বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরও মানুষের কোনও নৈতিক দায় আছে কিনা ?
📍 ব্যাবসায়িদের নৈতিক দায় আছে কিনা ?
📍 শিক্ষক আর সাংবাদিকদের দায় আছে কিনা ?
📍 থানা পুলিশের দায় আছে কিনা ?

এতগুলো প্রশ্নের জবাব একটা শব্দেই দেওয়া এখন খুব সহজে সম্ভব। সেটি আছে। মানে দায় সবার আছে।

এখন আসেন প্রশ্ন ধরে কিছু অনুসন্ধান দেখি –

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চেষ্টা করেছেন বটে কিন্তু সফল হতে পারেননি।যদিও তিনি দফায় দফায় সভা করেছেন। হাটবাজারে ছুটেছেন বিরামহীন।
প্রশাসনকে ৩/৪জন জনপ্রতিনিধি ছাড়া কেউ সহায়তা করেননি।
কোনও চেয়ারম্যানকে দেখিনি হাট বাজার বন্ধে মাইকিং করিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বাজার কমিটি আর ব্যবসায়িদের সাথে বসে কোনও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমার জানা নেই।
ইজারাদারগণ এমন ভাব দেখিয়েছেন যেন বাজার খুলে রাখার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ।
জনসাধারণ তার নৈতিক দায়িত্ব ভুলে এমন ভাব করেছেন সব যেন প্রশাসনের কাজ।
মানুষকে খাদ্য সহায়তা একটু আগে ভাগে দেওয়ার পরেও মানুষ মোটেই কথা শুনেননি, শৃংখলা মানেননি।
ব্যবসায়িদের কোনও দায় কেউ দেখেছেন বলে জানি না।
কিছু শিক্ষককে বাজার বন্ধে আমি ভুমিকা নিতে দেখেছি। মানুষকে ঘরে ফেরাতে দেখেছি।
কিছু সাংবাদিকদেরও এ সংকটে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি।
আর পুলিশ প্রশাসন শুরুতে মাঠে থেকে কাজ করে পরে নিরব ভূমিকাও দেখছি।
এত দায়িত্বহীনতা আর মানুষের শৃংখলা ভঙ্গের কারনেই মঠবাড়িয়ার করোনার হাট সামাজিক দূরত্বহীন আজও।
সংকট যখন সকল মানুষের তখন প্রশাসনের দায়িত্ব আছে আর আমি মানুষ আমারও দায়িত্ব আছে।
জনপ্রতিনিধিরা সামনের কাতারে আসলেই আমরা মানুষকে সত্যিকার শৃংখলায় ফেরাতে পারবো। আসুন সবাই মিলে এ সংকটময় সময়ে ভেদাভেদ ভুলে মানুষের প্রাণ সুরক্ষা করি। কারও জীবন কারও একার নয়।

🌀পুনশ্চ : এত সংকটের ভেতর কতিপয় তরুণদের কিছু সামাজিক সংগঠনের বিপন্ন মানুষের পাশে দাড়ানোটা দূর্গত জীবনে মহতী দৃষ্টান্ত।

 

Leave a Reply

x

Check Also

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন আটক

পিরোজপুর প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে ...