ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - রুস্তম আলী ফরাজি কে নিয়ে তরুনের আবেগঘন স্টাটাস

রুস্তম আলী ফরাজি কে নিয়ে তরুনের আবেগঘন স্টাটাস

এম ডি জুয়েল মাহমুদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এই তরুণ এই আবেগঘন স্টাটাস টি দেন নিচে তা হুবহু তুলে ধরা হলো,

আমার দাদা মৃত ফজলুল হক মাল ছিলেন ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী এমপি সাহবের একজন খাচকর্মী, তিনি প্রায় ১৫ বছর আগে মারা গেছেন। আমার দাদা যতদিন বেঁচেছিলো এমপি সাহেবের হয়ে কাজ করেছে এবং অত্র ১০ নং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কারো যদি এমপি সাহেবের সাথে যোগাযোগ থাকতো বা চলাফেরা থাকতো তাদের ভিতর একজন ছিলো আমার দাদা। আমার দাদায় তার প্রতিটা নির্বাচনে তার হয়ে কাজ করেছে, তার হয়ে দিনের পর দিন ছুটে চলছে যা অত্র গুলিশাখালী ইউনিয়নের অনেকেরই জানা। আমি মুরুব্বিদের মুখে যতদূর শুনেছি তখনকার সময়ে এমপি সাহেব আমাদের এলাকায় যতবার আসতো দাদাকে আগে খবর দিয়েই আসতো, মিছিল-মিটিং-সমাবেশে গণজামায়েত সৃষ্টিতে দাদার ভূমিকা ছিলো অতুলনীয়। দাদা অকালে মারা গেলো একটা এক্সিডেন্টে। এরপর থেকে এমপি সাহেব নির্বাচনের আগে এসে আমাদের বাসার সামনে বাইক/ কার থামিয়ে এসেই আমার আব্বা(দাদার বড় ছেলেকে) নাম ধরে ডাক দিতো, খুব আন্তরিকতা, তখন ভাবতাম দাদা তার পিছনে অনেক শ্রম দিয়েছে তিনি হয়তো সে আমাদের মনে রেখেছে । এবারে বলছি দাদার মৃত্যুর ঠিক ১৫ বছর পরের কথা ২০১৯-২০২০ সালের কথা, এমপি স্যার যখন রানিং এমপি তখন আমাদের পরিবারের এক বিশেষ প্রয়োজনে এমপি সাহেবের সাথে দেখা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি, তাকে ফোনে পাওয়া যায় না এবং তার সাধারণ কর্মীদের মাধ্যমেও পাওয়া যায় না কিন্তু আমাদের একটা প্লাস পয়েন্ট ছিলো এটা যে, বর্তমানে এমপির আইসিটি (আমার এমপি) প্রতিনিধি ছিলো আমাদের এলাকার শ্রদ্ধেয় কাকা আলী রেজা রঞ্জু হাওলাদার। যদিও রঞ্জু কাকা এমপির হয়ে একদম একজন নতুন কর্মী হিসেবে কাজ করছে তবে সে খুব অল্প সময়েই স্যারের একদম কাছের হয়ে গেছে, এবারে রঞ্জু কাকার মাধ্যমে আমরা বারবার এমপি সাহেবকে আমাদের কথা জানাই, রঞ্জু কাকা আমাদের বলেছিলো আমি তাকে বলেছি তোমার দাদার নাম বলেছি সে বলছে সে ব্যাপারটা দেখবে কিন্তু শতচেষ্টার পরও তার সাথে দেখা করার সুযোগ মেলেনি এবং স্পষ্ট তার মুখ থেকে কিছু শোনার মতো সৌভাগ্য আমাদের হয়নি। আমার আব্বা তার বাসার সামনে দুইবার গেলো তার পিসএসের কাছে পরিচয় দিলো কিন্তু এমপি স্যারের স্ত্রী এবং তার পিএস কোনো সুযোগই দিলোনা, যাও যাও যাও এখানে ঝামেলা করোনা এভাবে বলে তাড়িয়ে দিলো। আজ পর্যন্ত জানতে পারলাম না যে কি কারণে এই অবহেলাটা, যে লোকটা বাড়িতে এসে আমার আব্বাকে খোঁজতো তাকে আজ আমারা তার বাসায় ঘণ্টারপর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তাকে পাই না। যাই হোক ভরসা আলী রেজা রঞ্জু কাকা, রঞ্জু কাকা আমাদের প্রতিবেশী আমরা তাকে ছোটোবেলা থেকে চিনি সেও আমাদের ছোটোবেলা থেকে চেনে এবং ছোটবেলা থেকে তাদের চোখের সামনেই আমরা বড় হয়েছি, খুব ভালো সম্পর্ক আর এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই তাকে ধরলাম এবং পরোক্ষভাবে হলেও এমপি সাহেবকে আমার দাদার কথা বলালাম, কাকা আমাদের কথা স্যারকে জানালো কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এটা যে তার কাছে আমাদের আবদারটি এবারে হাটের হালিহালি গরুর সাথে এক কাতারে মিশিয়ে লিস্ট করে নিলো। আমরা পরে আপডেট জানতে গেলাম তখন আশ্চর্য হলাম এজন্য যে, সেই কাগজ সে একটা সিগনেচার দিয়ে তার পিএসের কাছে দিয়ে দিলো এবং পরে তার আমার আব্বা এবং আমার দুই চাচাতো কাকা মঠবাড়িয়া একটা বিশেষ কাজে যাওয়ার পথে এমপি স্যারের বাসায় গিয়ে বিষয়টার খোঁজ নেয় তখন এমপি সাহেবের স্ত্রী বলে ওটা পিসএসের কাছে পিসএস জানে পিএস, পিএস কাগজ পাঠিয়ে দেবে, ওটার আর কিছু আমরা জানিনা, আসলে বিষয়টা এত হেয়ালীতে পরিপূর্ণতা পাওয়ার সহজ কাজ ছিলোনা, যাই হোক সবশেষে ব্যাপারটা নিয়ে আর আগালাম না, এখানেই থেমে গেলাম। তবে এই অবহেলার কষ্টটা ভুলতে পারলাম না। তবে সে যে উপায়ই হোক, যে উছিলায়ই হোক আল্লাহর রহমাতে ঐ কাজটা আমাদের হয়ে গেলো, আসলে আমাদের মনে একটা সংশয় ছিলো দেশে যা চলছে তাতে হয়তো এমপি সাহেবকে ছাড়া কাজটা হবেনা বা এমপি সুদৃষ্টি দিলে কাজটা যেভাবেই হোক হবে কিন্তু দিন যত গেলো ঘোলা পানিও তত পরিস্কার হলো। আবেদনটা ছিলো একটা মানবিক আবেদন, আমাদের পরিবারের অসহায়ত্ব কাটানোর জন্য মানবিক আবেদন। পরে সারা দেশের খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম যে, ঐ কাজে কোনো মানবিক আবেদনের প্রয়োজন ছিলোনা, শুধুমাত্র যোগ্যাতেকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এমনকি আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনের একদম ফেয়ারেই কাজটা হয়ে গেলো। তারপরও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমারা এমপির নিকট আবেদনে বাধ্য হয়েছিলাম, যাই হোক আমাদের কাজটা হওয়া জরুরী ছিলো যেভাবেই হোক কাজটা আমাদের হয়েছে আমরা তাতেই খুশি কেননা কাজটা আমাদের জন্য খুব জরুরী ছিলো। তবে রঞ্জু কাকার প্রতি কৃতজ্ঞতা তার চেষ্টায় কাজ হোক বা না-ই হোক সে তার স্থান থেকে আমাদের জন্য যথষ্ট চেষ্টা করেছিলো, আর সেটাই বা কয়জনে করে, এইজন্য কাকার প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। তবে এমপি স্যারের অবহেলার আঘাতের কষ্টটা হয়তোবা জীবনে ভুলতে পারবো না। তারপরও আমরা তাকে ভালোবাসতাম এখনও ভালোবাসি। তবে এমপি সাহেবের প্রতি রিকোয়েস্ট থাকবে এটাই যে, প্লিজ স্যার আপনি অতীত ভুলে যাবেন না, আপনি যদি অতিত ভুলে যান তবে ঠিক আপনিও যখন একদিন অতীত হবেন মানুষ তখন আপনাকেও ভুলে যাবে, তখন আপনার এই যুগের পর যুগের কর্মজীবনের সার্থকতাটাই মাটি হয়ে যাবে। আপনার জন্য দোয়া রইলো, সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফিজ।

 

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...