ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - মঠবাড়িয়া পৌরশহরে পানি সংকট

মঠবাড়িয়া পৌরশহরে পানি সংকট

মঠবাড়িয়া পৌর শহরে সুপেয় ও নিত্য ব্যবহার্য পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

গত এক মাস ধরে হাজার হাজার পৌরবাসী তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন। শহরের প্রাণ কেন্দ্রের একটি খাল খননের জন্য কালি মন্দির সংলগ্ন এলাকা হতে তুলাতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় অাড়াই কিলোমিটার খালে বাঁধ দেওয়ায় শহরে তীব্র পানি সংকট দেখা দেয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রের খালে বাঁধ দিয়ে ধীর গতিতে খাল খনন করছেন বলে ভূক্তভোগি এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রের এ খালের পানি পৌর শহরের মানুষের নিত্য ব্যবহার্য পানির চাহিদা মেটায়। গত এক মাস আগে খাল খননের জন্য ঠিকাদাররা খালে বাঁধ দিয়ে পানি সেচ করে প্রবাহমান খালটি শুকিয়ে ফেলে। এরপর দায়সারাভাবে খনন কাজ শুরু করা হয়। ধীর গতিতে খালটি খননের ফলে পৌরবাসী পানি সংকটে পড়েন ।
মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মিরুখালী সড়কের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম আজাদী জানান, খালটি গত এক মাস ধরে ঢিমেতালে খনন করার ফলে কবে নাগাদ শেষ হবে কেউ বলতে পারছে না। তিনি বলেন, “খালটির গভীরতা খনন না করে দুই পাড়ের মাটি কোনমতে মসৃণ করা হচ্ছে। ফলে এই খনন কাজ খালটির নাব্যতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তেমন কোন কাজে আসবে না। খালে পানি না থাকার কারণে পৌরবাসী গোছলসহ নিত্য ব্যবহার্য পানি নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে পৌরবাসী ১৫ টাকা/২০ টাকা দরে এক কলসি পানি কিনে গোসলসহ নিত্য ব্যবহার্য পানির সংকট মোকাবেলা করছে। অনেকে পানির সমস্যায় ২/৩দিন পর পর গোসল সারছেন ৷ বাড়ছে রোগ-ব্যাধি ৷
পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার বাসিন্দা মো. জুলফিকার আমীন সোহেল জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রের এই খালে পানির প্রবাহ না থাকায় শহরজুড়ে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। খালটির খনন কাজ বর্তমানে ফেলে রাখায় জন দুর্ভোগ বেড়েছে। শহরে মশা-মাছির উপদ্রব বৃদ্ধিসহ জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। যেভাবে ধীর গতিতে খালটি খননকাজ করা হচ্ছে তাতে আগামী ছয় মাসেও শেষ হবে না। খালটির খনন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার।
Mathbariaমঠবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রের খালটির নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশ বাঁধ দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়। গত এক মাস আগে খনন কাজের দরপত্র প্রদানের পর তিন ঠিকাদার মিলে কাজটি শুরু করে। আগামী মার্চ মাসে এ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে পৌরবাসীর অভিযোগ, খালটি কিছুদিন দায়সারাভাবে খালের দুই তীর মসৃণ করে ফেলে রাখা হয়। এতে নির্দিষ্ট সময়ে খনন কাজ শেষ না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। খালে বাঁধ দেওয়ায় শহরে তীব্র পানি সংকট দেখা দেয়। এতে পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েন। পৌবাসীর আশংকা দায়সারা খাল খনন ও ধীর গতির খনন কাজের ফলে আগামী ছয় মাস দুর্ভোগে পড়বেন।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালেক পৌর শহরের পানি সংকটে দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আগামী তিন মাস সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা খনন কাজে সময় পাবেন। তবে এই খালের পানি শহরের নিত্য ব্যবহার্য পানি হওয়ায় শহরবাসী পানি সংকটে পড়েছেন। খনন কাজ যাতে আরও দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয় তার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট তিন ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছে।’

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...