ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বধূ তুমি কার !

বধূ তুমি কার !

মো. খালিদ আবু ,পিরোজপুর >
পিরোজপুরের জিয়ানগরে এক স্কুল শিক্ষিকাকে স্ত্রী দাবি করে দুই স্বামীর টানাটানিতে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ওই শিক্ষিকার প্রকৃত স্বামী কে ? তার দ্বিতীয় স্বামী পরিচয় দানকারী মাহবুবুর রহমান ওই স্কুল শিক্ষিকাকে স্ত্রী দাবি করে গত রোববার জিয়ানগর প্রেস ক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং নিজ দাবীর পক্ষে নিকাহ নামা প্রদর্শণ করেছেন । অপরদিকে তার প্রথম স্বামী আবুবকর ফরাজী অপুও নিজ দাবীর পক্ষে নিকাহ নামা প্রদর্শণ করেছেন। ওই শিক্ষিকা বার বার ঘর বদল করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। আলোচিত মোর্শেদা খান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। এ বিষয়টি জিয়ানগরে এখন টক অব দ্য টাউন।
জানা গেছে, জিয়ানগরের পার্শ্ববর্তী দক্ষিন পশ্চিম চন্ডিপুর বি. কে রায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোর্শেদা খান গত ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর তারিখে ১ লাখ এক হাজার এক টাকা দেনমোহরে জিয়ানগর উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের ফজলুল হক ফরাজীর পুত্র আবুবকর ফরাজী অপুকে বিয়ে করেন। এর প্রায় ৩ বছর পর উভয়েরে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে ডিভোর্স প্রদান করেন। মোর্শেদা বেগম ২০১৬ সালের ৩০ মে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের সিএন্ডবি সড়কের বাসিন্দা ইউসুফ আলী মাষ্টারের ছেলে মাহবুবুর রহমানকে ২য় বিয়ে করেন। একই বছরের ৩ আগষ্ট ভান্ডারিয়া উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টারের মাধ্যমে আবার তাকে ডিভোর্স প্রদান করেন। এর ৭ দিন পর ২০১৬ সালের ১০ আগষ্ট তারিখ আবার ডিভোর্স প্রত্যাহারের জন্য নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আবেদন করেন। এখানেই শেষ নয়, এরপর ঐ শিক্ষিকা তার ডিভোর্স দেয়া ১ম স্বামী অপুকে ২০১৬ সালের ১৩ আগষ্ট তারিখ আবার বিয়ে করেছেন।
মোর্শেদার ২য় স্বামী মাহবুবুর রহমান জানান, মোর্শেদা তাকে ডিভোর্স দিয়েও আবার তা প্রত্যাহার করে নেয়ায় সে এখন তার স্ত্রী। তিনি আরও জানান, মোর্শদা তার নিজের চাকুরীর ও ভাইয়ের বিয়ের জন্য তার কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছেন। অপরদিকে মোর্শেদা অপুকে ২য় বার বিয়ে করায় অপুও তাকে স্ত্রী হিসাবে দাবী করছে।
এ ব্যাপারে মোর্শেদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপুকে ডিভোর্স দেয়ার পর পূর্ব পরিচিত মাহাবুবকে বিয়ে করেছিলাম। মাহাবুবের অন্য স্ত্রী আছে একথা জেনে তাকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় অপুকে বিয়ে করেছি। মাহাবুবকে দেয়া ডিভোর্স প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্বীকার করে মোর্শেদা বলেন মাহাবুব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
১ম স্বামী অপু জানান, মোর্শেদা আমাকে ডিভোর্স দিলেও আমরা আবার ধর্মীয় বিধানমতে বিবাহ করেছি।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...