ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - গরীব অসহায় প্রসূতি মায়ের চিকিৎসার খরচ বহন করলেন পিরোজপুরের ডিসি

গরীব অসহায় প্রসূতি মায়ের চিকিৎসার খরচ বহন করলেন পিরোজপুরের ডিসি


পিরোজপুর প্রতিনিধি 🔴🟢

পিরোজপুরে একটি বেসরকারী কিøনিকে ভর্তি হওয়ার পর টাকার অভাবে প্রসব বেদনায় ছটফট করা এক দরিদ্র প্রসূতি মায়ের অপারেশন সহ ঔষধ ও চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বুধবার দুপুরে শহরের ফেয়ার হেলথ ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি হয় নাদিরা আক্তার নদী নামে এক প্রসূতি। কিন্তু টাকার অভাবে ডেলিভারী করাতে পারছিলো না তার দরিদ্র স্বামী। এমনটা খবর পেয়েই জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন তাৎক্ষনিক সেখানে ছুটে যান এবং অপারেশন সহ সকল খরচ নিজেই বহন করেন। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লিনিকে ভর্তি থাকা প্রসূতি নারী নাদিরা আক্তার নদী’র স্বামী রনি সেখ।

নাদিরা ও রনি দম্পত্তি শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে একটি ভাড়া বাসায় থাকলেও তাদের নিজেদের বাড়ি পার্শবর্তী বাগেরহাট জেলার সাইনবোর্ডের তেলিগাতি গ্রামে। রনি সেখ পেশায় একজন রিক্সা চালক।ডেলীভারীর জন্য

রনি সেখ জানান, তিনি তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীকে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। জেলা হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় পার্শবর্তী ফেয়ার হেলথ ক্লিনিককে ভর্তি করেন। সেখানে অপারেশনের জন্য কতৃপক্ষ ১৪ হাজার টাকা দাবী করলে অসহায় হয়ে পরেন রনি সেখ। হতদরিদ্র রিক্সা চালক রনি এদিক ওদিক ছোটাছুটি করেও যখন ব্যার্থ হন তখন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হুদা নিঝুম তার স্ত্রী জন্য রক্তের ব্যবস্থা করেন এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসককে কে জানান। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক এসে ক্লিনিকের অপারেশন সহ সকল খরচ বহন করেন। পরে কতৃপক্ষ অপারেশন করে। রনি সেখ বলেন, আমাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন, যার কারনে আমার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছে আমরা সেই মানবতার ডিসি স্যারের নামে আমাদের ছেলের নাম সাজ্জাদ রাখতে চাই যদি ডিসি স্যার অনুমতি দেন।

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হুদা নিঝুম জানান, খরটি শুনতে পেয়ে আমরা তাৎক্ষনিক ক্লিনিকে ছুটে যাই এবং মানবতার জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি সাথে সাথে ক্লিনিকে ছুটে আসেন প্রসূতি মায়ের খোঁজ খবর নিয়ে অপারেশন ও ঔষধ সহ সকল খরচ তিনি নিজেই বহন করেন। একজন জেলা প্রশাসক নিজের কাজ ফেলে শত ব্যাস্ততার মধ্যেও সাথে সাথে এসে প্রসূতি মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন এটি আমাদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি একজন মানবতার জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কয়েকজন উদ্যেমী তরুন সমাজসেবক আমাকে বিষয়টি জানালে ক্লিনিকে ছুটে যাই এবং গর্ভবতী মায়ের সুচিকিৎসার ব্যাবস্থা করি। বর্তমানে মা ও সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ্য রয়েছে। আমরা তার সুচিকিৎসা এবং পরবর্তী ঔষধ খরচ বহন করেছি। পাশাপাশি তার স্বামীর কর্মক্ষেত্রে সহায়তা করার চেষ্টা করবো।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...