পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলায় ইউনিয়নের পান্তাডুবি এলাকায় এক নারীকে জোড় করে তুলে নিয়ে সংঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ও তার সহযোগী সহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের তেজদাসকাঠী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ১১টি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী আমিন খান ও তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক সোহাগকে আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান।
আটক হওয়া প্রধান অভিযুক্ত আমিন খান (৪২) তেজদাসকাঠী এলাকার চাঁন খানের পুত্র এবং সহযোগী মোটরসাইকেল চালক সোহাগ একই এলাকার বাসিন্দা। সংঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী (৩১) পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আয়া পদে কর্মরত আছেন। তিনি পৌরসভার শিকারপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তার শ^শুর বাড়ি ইন্দুরকানী উপজেলা পত্তাশী ইউনিয়নে তিনি দুই সন্তানের জননী।
সংঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার ওই নারীর অভিযোগে জানাযায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই নারী একটি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুর থেকে কদমতলা যাওয়ার সময় পথে ব্রাক্ষণকাঠী শলারদরজা এলাকা থেকে ১১ মামলার আসামী আমিন খান নামে এক বখাটে মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে তাদের পান্তাডুবি এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরো কয়েকজন মিলে ভাঙ্গা ঘরের ভেতরে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর কাছে থাকা একটি এ্যান্ডরয়েড মেবাইল ফোন ও বিকাশের পাসওয়ার্ড জেনে সেখানে থাকা দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারী সেখান থেকে বের হয়ে রাস্তার উপরে পড়ে গিয়ে কান্নাকাটি করায় স্থানীয়রা তাকে তুলে পিরোজপুর হাসপাতালে পাঠায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন এর নেতৃত্বে সংঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আমিন খান ও তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালককে আটক করেছে । এ ঘটনায় মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকী অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।