মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিরোধীয় জমিতে হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের আধাঁরে ঘর উত্তোলন ও গাছ লাগিয়ে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের জমি প্রতিপক্ষ কর্তৃক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগি স্কুল শিক্ষক মো. শাহ আলম মাস্টার লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশী ব্যবস্থার মানছেনা প্রতিপক্ষরা। রাতে আঁধারে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষরা রাতের আঁধারে জমির চারপাশে নালা কেটে গাছ লাগিয়ে ও ঘর উত্তোলন করে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের বড়শিঙ্গা গ্রামের স্কুল শিক্ষক মো. শাহ আলম মাষ্টার গংদের ভোগ দখলে দুই একর ৭৩ শতাংশ কৃষিজমি নিয়ে থাকা একই এলাকার মৃত হাকিম বয়াতির ছেলে শহিদুল বয়াতির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হয়নি। এমন অবস্থার মধ্যে সম্প্রতি প্রতিপক্ষ শহিদুল বয়াতি দলবল নিয়ে রাতের আঁধারে টিকিকাটা মৌজার এস.এ ৩১৮ নম্বর খতিয়ানের ৪৯০ নম্বর দাগের দুই একর ৭৩ শতাংশ নাল কৃজিমিতে নালা কেটে জবর দখল করে। প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগি স্কুল শিক্ষক হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি আপীল মামলা দায়ের করেন। হাই কোর্টের বিচারপতি এ.কে.এম জহিরুল হক গত ৬ মার্চ তারিখে নিম্ন আদালতের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে বিরোধীয় জমিতে ছয় মাসের স্থিতিবস্থার আদেশ দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ শহিদুল বয়াতি ওই আদেশ অমান্য করে সংশ্লিষ্ট জমিতে নালা পুকুর খনন করে ঘর উত্তোলন করেন ।
এ বিষয়ে অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শাহ আলম মাষ্টার জানান, মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পিরোজপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর নিকট তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিরোধিয় জমিতে প্রতিপক্ষের কাজ কর্ম বন্ধ করে দেন। এরপর নতুন করে প্রতিপক্ষ শহিদুল বয়াতি জমিতে গাছপালা রোপন করছেন।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম বয়াতি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমি ক্রয় সূত্রে মালিক। জমি নিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন মামলা ছিলো আমি রায় পেয়েছি। পরে তারা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করলে জমিতে স্থগিতাদেশ হয়। আমি কোনও জবর দখল করিনি।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন, দুই পক্ষের বিরোধিয় জমিতে হাইকোর্ট স্থিতিঅবস্থা জারি করার পর একপক্ষ সেখানে দখলের চেষ্টা করে। ভূক্তভোগি স্কুল শিক্ষক অভিযোগ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দখল চেষ্টা বন্ধ করে দেওয়া হয় । হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা মানতে হবে। কেউ না মানলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।