মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় বাদশা খাঁ (৫৮) নামের এক কৃষক বিরোধপূর্ণ জমিতে ইটের পাঁজায় বাঁধা দিতে গিয়ে আহত হয়ে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত কৃষক পাঁচ সন্তানের জনক ও ওই গ্রামের মৃত মোন্তাজ আলীর ছেলে। এ মৃত্যুর ঘটনরে কোন অভিযোগ না করে রহস্যজনক কারনে কৃষকের লাশ দাফন করে তার পরিবার। তবে এ ঘটনার পর থেকে ইট পাঁজার মালিক পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায় এ ঘটনায় ভূক্তভোগি পরিবারের কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের না করায় কোন আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ।
মৃত কৃষকের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০) অভিযোগ করেন, তার প্রতিবেশী প্রভাবশালী হাবিব জমাদ্দারের সাথে তার স্মামী বাদশা খাঁর বসত বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। প্রতিপক্ষ হাবিব এ বিরোধপূর্ণ জমির কিছু অংশ জবর দখল করে একটি অবৈধ ভাবে ইট পোড়ানো পাঁজা তৈরী করেন। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে প্রতিপক্ষ হাবিবের সাথে বাকবিতান্ডের হয় । একপর্যায় হাতাতির সময় কৃষক বাদশা খাঁ মাটিতে পড়ে গুরুতর অসুস্থ হযে পড়েন। স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কৃষক বাদশা খাঁর মৃত্যু ঘটে।
বাদশা খাঁয়ের ছোট ভাই এমাদুল হক খাঁ অভিযোগ করে বলেন, জমি দলখ করে ইটের পাঁজা নির্মাণের প্রতিবার চেয়ে নিহত বড় ভাইকে নিয়ে গত ৩/৪ দিন পূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি তারা।
তবে এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি,এম, সরফরাজ জানান, মৃত বাদশা খাঁয়ের অভিযোগ পেয়ে ইটের পাঁজার মালিক হাবিবকে ডেকে এনে ইট পাঁজা পোড়াবেনা এ মর্মে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, বাদশা খাঁয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।