পিরোজপুর প্রতিনিধি :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং পূর্ণিমার প্রভাবে রবিবার শেষ রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক সহ শহরতলির নিম্নাঞ্চল। রাতভর টানা বৃষ্টিতে সড়কের ওপর ও পড়া-মহল্লায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এবং অনেক বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বেশ কিছু মানুষ। ফলে এসব এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রাতভর একটানা বৃষ্টির পর সোমবার সকালে শহরের প্রধান সড়ক ডাকঘর সড়ক যেখানে বেশির ভাগ সরকারী অফিস ও ৪/৫টি ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেখানে প্রায় হাটু সমান পানি জমে গেছে।
সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত টানা বর্ষণে জেলায় প্রায় ২৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জণজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না জনসাধারণ। বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়েছে খেটে খাওয়া দিন মজুর।
টানা বর্ষনে সদর উপজেলার বেকুটিয়া, কুমিরমারা, শারিকতলা, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝেরচর, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার কালাইয়া, সাঈদখালীচর, কাউখালী এলাকার সোনাকুর, লঞ্চঘাট এলাকা দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এতে ভোগন্তিতে পড়েছে জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। বৃষ্টির সাথে জোয়ারের পানি বাড়লে নিন্মাঞ্চলে আরো পানি বাড়ার আশংঙ্কা করছে উপকূল এলাকার মানুষেরা। তবে এখনো জেলা প্রাসন থেকে নেয়া হয়নি তেমন কোন ব্যবস্থা অভিযোগ উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উকূলীয় এলাকায় বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জণপ্রতিনিধিদের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান নিজেই দুপুরের দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন নিন্মাঞ্চল পরিদর্শনের জন্য রওয়ানা হয়েছেন।