পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলায় বুধবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তের কোন খবর পাওয়া যায় নি। পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. হাসানাত ইউসুফ জাকি দুপুরে জানান, বুধবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। নমুনা সংগ্রহকারীদের মধ্যে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ভান্ডারিয়া এবং মঠবাড়িয়া উপজেলার ব্যক্তিরা রয়েছেন। এদের সকলের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। তার মানে এদের কেউই করোনা আক্রান্ত নন। তিনি আরও জানান, ১৩ জনের মধ্যে ৪ জনের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায় নি। তাদের রিপোর্ট এলে বাকীটা বলা যাবে।
এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনী আগের চেয়ে আরও কঠোর অবস্থানে। সরকারের ‘ঘরে থাকা’ এবং লোক সমাগম বন্ধ করার লক্ষে পিরোজপুর জেলা শহরসহ প্রতিটি উপজেলার সকল প্রকার দোকানপাট বিকেল ৫ টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তবে শুধুমাত্র ওষুধের দোকান খোলা থাকতে পারবে। পুলিশ জেলার বিভিন্ন সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রন করছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে এলে তাকে আইন শৃংখলা বাহিনী সদস্যদের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।
এদিকে জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলায় অতি জনসমাগম জনিত নিরাপত্তাহীনতার কারণে উপজেলার বৃহৎ কাঠের বাজর ইন্দেরহাট ও মিয়ারহাট নামক দুটি বাজার বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসন এ ঘোষণা দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু জানান, ওইসব বাজারে সরকারি আদেশ অমান্য করে প্রতিনিয়ত মানুষের অতি জনসমাগম ঘটে চলছিল। তাই নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে ওই বাজার দুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তিনি আরো বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।