ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ার শিক্ষক ও নিকাহ নিবন্ধক একই ব্যাক্তি।

মঠবাড়িয়ার শিক্ষক ও নিকাহ নিবন্ধক একই ব্যাক্তি।

সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষকতার পাশাপাশি একই সাথে নিকাহ নিবন্ধকের কাজ করছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম ২৬ নং পশ্চিম লক্ষণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের লক্ষনা গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়ারেচ আকনের ছেলে। পিরোজপুর জেলা রেজিস্টার অফিস সূত্রে জানা গেছে, রফিকুলের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিকাহ নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধিত। ২৯/০২/১৯৯৬ তারিখে তিনি নিকাহ নিবন্ধক হিসেবে নিবন্ধিত হন। তার নিবন্ধন নম্বর ১১৬ বিচার-৭/২ এন-৭/২৪৬/৭৭। একই সাথে শিক্ষকতা ও নিকাহ নিবন্ধকের কাজ করায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তবে রফিকুল দাবি করেন, তিনি বিদ্যালয়ের পাঠদান শেষে বিকেলে এবং রাতে নিকাহ নিবন্ধকের কাজ করেন। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কনক রানী বলেন, রফিকুল শিক্ষকতার পাশাপাশি নিকাহ নিবন্ধক কিনা তা তার জানা নাই। জেলা নিবন্ধক অচিন্ত্য কুমার সাহা বলেন, নিকাহ নিবন্ধকের প্রথম শর্ত হলো তিনি কোন সরকারি চাকরির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবেন না। এমনকি নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়েও নিকাহ নিবন্ধন করতে পারবেন না। তিনি আরও জানান, কোন ব্যক্তিকে নিকাহ নিবন্ধক হিসেবে নিবন্ধন দেয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জেলা নিবন্ধক শুধুমাত্র বিষয়টি তদারক করেন। তবে সরকারি চাকুরির পাশাপাশি নিকাহ নিবন্ধকের কাজ করছে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া গেলে, তারা মন্ত্রণালয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখবেন। রফিকুল জানান, ১৯৯০ সালে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তখন বিদ্যালয়টি সরকারি হয়নি। তবে বর্তমানে বিদ্যালয়টি সরকারি হলেও, চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকায়, তিনি তথ্য গোপন করে শিক্ষকতার পাশাপাশি নিকাহ নিবন্ধকের কাজটিও চালিয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...