মনোতোষ হাওলাদার,বামনা(বরগুনা) >>
আদালতে পুত্রবধূর দায়ের করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতারির পরোয়ানার খবর শুনে কৃষক শ্বশুর মো. সেলিম হাওলাদার (৫৫) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে বুধবার দিবাগত রাতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে ।
আদালত সূত্রে জানাযায়, নিহত সেলিম হালাদারের পুত্র ইউনুস সোহেল (২৪) গত ২০১৫ সালের উপজেলার টিয়ারখারী গ্রামের প্রবাসী আবুল কালাম আজাদের মেয়ে মিতু আক্তার বিয়ে করে। এ বিয়ের সময় মেয়ের বয়স নিয়ে শ্বশুর পক্ষ প্রতারনা করে ৪’লাখ টাকা কাবীন করে। এতে ১’লাখ টাকা আদায় দেখানো হয়। মিতুর জেএসসি পরীক্ষার সনদে জন্ম তারিথ ২০/১১/২০০৩ এবং কাবীনে ব্যাবহৃত জন্ম সনদ অনুযায়ী ২০/১১/১৯৯৫।
এদিকে মিতু আক্তার মঠবাড়িয়া সিনিয়র সুডিসিয়াল আদালতে ২লাখ টাকা যৌতুকের দাবীর অভিযোগ করে স্বামী সোহেল, শ্বশুর সেলিম, শাশুরী লাইলী ও দেবর রুবেলকে আসামী করে গত ১২/০৪/২০১৭ একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে গোপন রাখে। আদালত ওই মামলায় আসামী সোহেলের গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে।
এদিকে আগামী ১৬আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে জামিন না মঞ্জুর করে আদালতে পাঠিয়ে দিবে এ আতঙ্কে স্ট্রোক করে পিতা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এছাড়াও সোহেলের স্ত্রী মিতু পিরোজপুর পারিবারিক আদালতে ৩’লাখ ১৫ হাজার টাকা দাবী করে স্বামীকে আসামী করে আরও একটি মামলা দায়ের করে।
ইউনুস সোহেল এর অভিযোগ, তার স্ত্রী মিতু আমাদের বাড়িতে না এসে হয়রানী করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট ধার্য তারিখে মঠবাড়িয়া আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আমার জেল হাজতে যেতে হবে এ আতঙ্কে স্ট্রোক করে পিতা সেলিম মারা যায় বলে জানান।
এ ব্যাপারে বামনা উপজেলার বামনার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মিজানুর রহমান জানান, সেলিম হাওলাদার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন,হঠাৎ পুত্রের গ্রেফতারির পরোয়ানার খবর শুনে আতঙ্কে স্ট্রোক করেন।