আজকের মঠবাড়িয়া সত্য প্রচারে সোচ্চার 
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সদস্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনের জেরে প্রতিপক্ষরা এমিলি বেগম(৫৫)নামে এক নারী ইউপি সদস্যের বসত বাড়িতে অজ্ঞাত দুর্বত্তরা অগ্নি সংযোগ করেছে। আগুনে ওই ইউপি সদস্যের ছোট ছেলে রিমন তালুকদারের তালাবদ্ধ বসত ঘরটি মালামালসহ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আজ সোমবার ভোর রাত চারটার দিকে উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য এমিলি বেগমের বড়শৌলা গ্রামের বাড়িতে এ অগ্নি সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে।
সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র (আনারস) প্যানেলের সমর্থন ও নির্বাচনী এজেন্ট হওয়ায় নৌকার সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে এ আগুন লাগিয়েছে বলে ভূক্তভোগি পরিবারটি দাবি করেছে। এতে প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয় বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দাবি করেছেন।
ভ’ক্তভোগি নারী ইউপি সদস্য এমিলি বেগম অভিযোগ করেন, তার পরিবার এবার উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেলর প্রার্থীদের সমর্থন দেয়। গত ১৮ জুন তারিখে অনুষ্ঠিত তার ছোট ছেলে রিমন তালুকদার নিজ ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গেলে নৌকার সর্মকরা বাঁধা ও মারধর দেয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে ম্যাজিষ্ট্রেট এসে ছেলে রিমনকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা নেয়। নির্বাচনের দুইদিন পর ছেলে রিমন বসতঘর তালাবদ্ধ রেখে পরিবার নিয়ে চিকিৎসা জনিত কারনে ঢাকায় যায়। এদিকে নির্বাচনী প্রতিহিংসার জের ধরে সোমবার ভোর রাতে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদল ইউপি সদস্যের ছোট ছেলের ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। স্থানীয়রা মিলে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়। আগুনে পরিবারটি সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়।
ইউপি সদস্য এমিলি বেগম অভিযোগ করেন, ছোট ছেলে ঢাকায় গেলে আমি পার্শ্ববর্তী বড় ছেলে মামুন তালুকদারের বসতঘরে ছিলাম। উপজেলা নির্বাচনের দুইদিন আগে বড় ছেলে মামুনকে নৌকার সমর্থকরা কোন মামলা ছাড়াই পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেয়। এরপর পুলিশ তাকে বিনা অপরাধে কোর্টে চালান করে। রবিবার সকালে সে জামিনে বাড়িতে ফিরে আসে। তিনি আরও জানান, এর আগে গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর(আপেল)প্রতীকের সমর্থন করায় স্থানীয় কাটাখালী বাজারে আমার ঘরে ভাড়ায় থাকা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দৃর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। নির্বাচনী প্রতিহিংসায় পরিবারটি এখন আতংকগ্রস্ত বলে তিনি জানান।
আজ সোমবার দুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ও ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি সদস্য এমিলি বেগম বাদি হয়ে ৪/৫জনকে আসামী করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ভোর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগি পরিবার মামলা দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্য¦স্থা নেওয়া হবে।
