মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া একক আসনে মনোনীত বিএনপির প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন দুলালসহ ২৩ বিএনপি নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা পুলিশের দুইটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আজ সোমবার দুপরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক হাকিম আব্দুল মন্নান এ আদেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হাইকোর্টের এক মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন শেষে নিম্ম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন বাতিল করে ২৩ আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় বিজ্ঞ আদালত।
এতে আজ সোমবার মঠবাড়িয়া আসনের বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন দুলাল, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মো. জালাল মৃধা, উপজেলা যুবদল সদস্য সচিব তাহসীন জামান রুমেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রণি মুন্সি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রামীম লস্করসহ ২৩ নেতা কর্মী জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদ হাসান বাদি হয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ আনান হয়, সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাঞ্চাল করার জন্য মঠবাড়িয়া-গুদিঘাটা সড়কে নির্মাণাধীন সেতুর মালামাল খালে ফেলে ক্ষতিসাধন ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণসহ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেন।
এ ছাড়া ৮ নভেম্বর মঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত হোসেন বাদী হয়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাঞ্চালের চেষ্টার অভিযোগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন হাওলাদার সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ৬০ জন অজ্ঞাত আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি নেতা কে এম হুমায়ূন কবীর এ মামলা হয়রানিমূলক দাবি করে বলেন, নির্বাচনে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী মাঠ শুন্য করা জন্য এ সাজানো মামলা দেওয়া হয়েছে। ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।