মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
দক্ষিণ উপকূলে এখন মাঠের পাকা ধান কর্তনের মৌসুম। সেই সাথে শীতের সবজিসহ নানা আবাদে কৃষি শ্রমিক প্রয়োজন। যত্র তত্র শ্রমিক মেলেনা। এ মৌসুমে শ্রমিকের একটা চাহিদা বাড়ে। শ্রমিকরা তাই শীতের কুয়াশায় হীম শীতল সাজসকালে সমবেত হন। হাতে ব্যাগ,কাস্তে কোদালসহ শহরের নির্দিষ্ট স্থানে দাড়ান। ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী এ শ্রমিকদের দিন মজুরী নিয়ে দরকষকষির পর গৃহস্থ শ্রমিক নিয়োগ দেন। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরে কয়েক বছর ধরে বিশেষ করে শীত মৌসুমের সকালে বসে এমন শ্রমজীবীদের হাট। ক্ষুধা ও দারিদ্রতা দূর করার লড়াই দরিদ্র শ্রমজীবীদের এ যেন এক নিয়ত জীবন সংগ্রাম।
মঠবাড়িয়া পৌর সভার সম্মুখ সড়কে (চৌ রাস্তার মোড়) প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে শুরু হয় এ শওমের হাট। শীতের এ মৌসুমে ধান কাটা, আঁটি টানা, মাটি কাটা, গাছ কাটা, রাজ মিস্ত্রীর কাজসহ নানা কাজে শ্রমিকের চাহিদা বাড়ে। দিনমজুরসহ নানা পেশার শ্রমজীবী মানুষ মেলে নির্দষ্ট শ্রমের হাটে। এ বাজারে শ্রমিক নিতে আসেন মালিকরা। আর এতে খুব সহজে শ্রমিকরা তাদের দিনের কাজ পান মজুরীতে।
উপজেরার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের দিনমজুর কামাল মিয়া (৩৫) জানান, পরিবারের অবস্থা ভাল না থাকায় লেখা-পড়া আর হয়নি। স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার চলে দিনমজুরীতে। প্রতিদিন শ্রমের হাটে এসে দাড়ালেই সহজে কাজ মেলে। কোন দিন ৫০০ আবার কোনদিন ৬০০ টাকা মজুরীতে কাজ পাই। এতে সংসার ভালই চলে।
স্থানীয় উত্তর হলতা গ্রামের আবু হানিফ (২৭) জানান, খুব ভোরে জোর পায়ে হেটে চলে আসি সদরের হাটে। সকাল ৮ টার মধ্যে কোন না কোন দিনজুরীর কাজ পাই। ৫/৬’শ টাকা পাই রোজগার করি। এভাবেই সংসার ভালই চলছে। এখন ধান কাটার মৌসুম। তাই কাজ বেশি মজুরীও ভাল। তবে বর্ষা মৌসুমে কাজ মেলে কম।
ছবি >> এস.এম আকাশ