আজকের মঠবাড়িয়া সত্য প্রচারে সোচ্চার 
খালিদ আবু,পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠী গ্রামের ফিরোজ হত্যা মামলায় ৩ জনকে ফাঁসি ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ আদেশ দেন। আদেশে আসামী মো: সাহিনুর রহমান শানু মোল্লা , রেজাউল খা ও মিজান বেপারীর ফাঁসির আদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আসামী রেক্সনা বেগম , নিজাম আকন, সুমন সেখ, ওমর ফারুক মিঠু, মামুন মাতুব্বর, লিমন তালুকদার ও মো: রাসেল কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন বিচারক। আসামীদের সকলের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠী এলাকায়। 
মামলা সরকার পক্ষের আইনজীবী ও পিপি এ্যাডভোকেট খান মো: আলাউদ্দিন জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারী মাসে সদর উপজেলার কালিকাঠী গ্রামের ফিরোজ মাঝির বোন রিমু আক্তারের সদর উপজেলার ধুপপাশা এলাকায় বিয়ে হয়। এর কয়েকদিন পর থেকে কালিকাঠী এলাকার আসামীরা ফিরোজ ও তার মা নাসিমা বেগমকে রিমিকে তার স্বামীর কাছ থেকে তালাক নিয়ে এসে আসামী রেজাউলের সাথে বিবাহের জন্য চাপ দেয় । কিন্তু নাসিমা বেগম ও ফিরোজ মাঝি বিষয়টি না মেনে নিলে তাদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরেই ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল মাসে ফিরোজ মাঝি শিকদারমল্লিক এলাকার থেকে একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল ফিরোজ মাঝির মা নাসিমা বেগম বাদী ১০ জনকে আসামী করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই পিরোজপুর সদর থানায় এসআই বাদল কৃষ্ণ দাস এ মামলার ১০ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
পিপি খান মো: আলাউদ্দিন আরো জানান, এ মামলায় বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডাক্তার সহ মোট ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এ রায় ঘোষনার সময় আদালতে আসামীদের মধ্যে মোট ৮ জন উপস্থিত ছিলেন এবং ফাঁসি দন্ড প্রাপ্ত আসামী শানু মোল্লা ও রেজাউল খা পলাতক আছে।
