হতভাগ্য শিশু হাসান চার ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় । বয়স আনুমানিক ৮ বছর। ঠিক করে পিতার নাম বলতে পারে না। মা ভিক্ষা করে। পিতার সম্পর্কে ওর ধারণা এতটুকু সে ওদের ফেলেরেখে চলে গেছে। হাসান কিছু দিন ধরে গলায় ঢালা বুঝিয়ে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে পান বিক্রি করছে। পান বিক্রি করে ওর প্রতিদিন আয় ৫০-৬০ টাকা। ওর মায়ের ভিক্ষার টাকা আর হাসানের পান বিক্রির টাকা দিয়ে চলে ওদের সংসার। ওর মায়ের সাথে কোথায় থাকে তাও ঠিক করে বলতে পারেনা। কতক্ষণ আমড়াগাছিয়া আবার কতক্ষণ মিরুখালী একপর্যায়ে বলা শুরু করল বাড়ি অনেক দূরে। হাসানের নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহক আছে। যারা প্রতিদিন ওর কাছ থেকে পান ক্রয় করে। ওই সব গ্রাহকরা হাসানের কাছ থেকে শুধু পানই ক্রয় করেননা ওকে আদরও করেন। ওর মাথায় বুলিয়ে দেন মমতার হাত। হাসানের একজন নিয়মিত গ্রাহক মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী।
তিনি জানান, হাসান প্রতিদিন গলায় পানের ঢালা ঝুলিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে পান বিক্রি করতে। ওর এক খিলি পানের দাম ৫টাকা। তিনি আরও জানান, হাসানের কাছ থেকে পানের খিলি ক্রয় করি আর না করি আমার প্রতিষ্ঠানে আসলে ওকে ৫টাকা দিয়ে দেই।
অসহায় হাসান জানায়, প্রতিদিন গলায় পানের ঢালা ঝুলিয়ে চলতে কষ্ট হয়। কিন্তু অভাবের তাড়নায় সে কষ্ট তাকে সইতে হয়। হাসান দুমুঠো ভাতের জোগান দিতে এ বয়সে সে পথের ফেরিওয়ালা। কিন্তু হাসান লেখা পড়া করতে চায়, চায় তিনবেলা দুমুঠো ভাতের সংস্থান।