মো. আব্দুল লতিফ খসরু >>
বৃদ্ধ আব্দুল মজিদের জীবনের এখন বার্ধক্যের ক্রান্তিকাল। ১১১ বছরের জীবন নিয়ে বেঁচে আছেন। ১৯০৬ সালে জন্ম নেয়া মানুষ। সে অনুযায়ী অদ্য বাবা দিবসে তাঁর বয়স ১১১ বছর ১ মাস ১৪ দিন। ছয় সন্তানের এ বাবাকে আজ বিশ্ব বাবা দিবসে এক নজর দেখতে গিয়েছিলাম। বার্ধক্য মানুষের অসহায়ত্বের কাল। আমরা মানুষ আসলে সবাই জীবনের এমন ক্রান্তিকালে পৌঁছব। সকলেই আমরা একদিন না ফেরার দেশে চলে যাব।
পিরোজপুরের কাউখালী বাবা দিবস উপলক্ষে উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আমরাজুড়ী গ্রামের ১১১ বছর বয়সী আবদুল মজিদকে আজ এই দীর্ঘ জীবনে বেঁচে থাকা মানুষটির বাড়িতে গিয়ে পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জানালাম। শতবর্ষী মানুষটিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার হাতে কিছু উপহার সামগ্রী তুলে দিতে পেরে খুব স্বস্তি বোধ করছি। আমার বাবা নেই আমার যা কিছু অর্জন তার পিছনে বাবার অবদান অনেক। তাই শতবর্ষী এই বাবার খোঁজ নিতে গিয়ে আজ ব্বি বাবা দিবস নিজের প্রয়াত বাবাকে খুব মনে পড়ছে।
বৃদ্ধ আব্দুল কাউখালী উপজেলার আমরাজুড়ী গ্রামের আবদুল মজিদ তার জন্ম গ্রহণ করেন ১৯০৬ সালে। তার জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী তার বয়স আজ বাবা দিবসে ১১১ বছর ০১ মাস ১৪ দিন।
শতবর্ষী মানুষটি এখন শুয়ে বসে দিন কাটছে। স্মৃতি হাতড়ে জীবনের গল্পটা তেমন বলতে পারেন না। এক জীবনে কত সুখ , কত দু:খ, বর্ণিল কিংবা কতটা বর্ণাঢ্য তার বৃত্তান্ত বলতে পারেননি তিনি। আব্দুল মজিদের হয়ত আর জীবনে কিছু চাওয়ার নেই। জীবনে না পাওয়ার বেদনায় তিনি আর ভারাক্রান্ত নন।
১১১ বছর বয়সী আবদুল মজিদের তিন ছেলে তিন মেয়ে। ছেলে মেয়েরা সকলেই আলাদা সংসারে। তবে বড় ছেলে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে থাকেন তিনি। বড় ছেলের সৌভাগ্য । শতবর্ষী বাবাকে তিনি এখনও আগলে আছেন।
১১১ বছর বয়সী আবদুল মজিদ আজ বাবা দিবসে ফুল ও উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশীতে বলেন, মুই এই বয়সে ঘরের মধ্যে হুইয়া বইস্যা থাহি । মাঝে মাঝে একটু সামান্য আডা চলা করি। জীবনে আর কোন চাওয়ার নাই। অহন আল্লায় ডাক দিলেই পরপারে চলে যাব। পোলা মাইয়ারা যেন সুখে থাহে এ ছাড়া আল্লার ধারে কোন কিছু চাওয়ার নাই।