মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >পিরোজপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষকা কর্মকর্তার খন্দকার মো. আলাউদ্দিন আল আজাদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের হয়রাণি ও ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মঠবাড়িযা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতা ও উপজেলার ২১টি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার প্রধানগণ যৌভাবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পত্র স্থানীয় সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাশেদ হাওলাদার পাঠ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, পিরোজপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষকা কর্মকর্তার খন্দকার মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে মঠবাড়িয়ার শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রাণি করে আসছেন। শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে তিনি মঠবাড়িয়া হতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের টাইমস্কেল গ্রেড পরিবর্তন,ডিজির নমিনি মনোনয়ন, কোঠা খালি করণ, অনলাইনে তথ্য প্রেরণ,শিক্ষকদের বেতন ভাতা বিল করণসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের নানা কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করে আসছেন।
শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতির কারনে মঠবাড়িয়ার সংসদ সদস্য ডা.রুস্তুম আলী ফরাজি সম্প্রতি তাকে বদলীর জন্য ডিও লেটার দেন। পরে শিক্ষা কর্মকর্তার অন্যত্র বদলীর আদেশ জারী হলে তিনি নানাভাবে তদবির করে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ভূক্তভোগি শিক্ষকরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দুর্নতির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক তাকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পিরোজপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের আনীত অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বানোয়াট দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দের কারনে আমি পরিস্থিতির শিকার।