বিশেষ প্রতিনিধি 🔴🟢
পিরোজপুররের মঠবাড়িয়ার উত্তর মঠবাড়িয়া গ্রামের নির্মল চাঁদ ঠাকুর বাড়ি মন্দির অঙ্গনে এবার ৯২ ফুট( ৬১ হাত ) উচ্চতার কালি প্রতিমাে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনদিন ব্যাপী এ কালী পূজা উৎসব ঘিরে দেশের দুর দুরান্ত হতে কয়েক হাজার মানুষের পদচারণা শুরু হয়েছে। আয়োজকরা দাবি, সমগ্র এশিয়ার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বৃহৎ উচ্চতার প্রতিমার পূজা।
শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া এ বিশালাকৃতির কালি প্রতিমার পূজা চলবে আগামী তিনদিন ধরে। মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর মঠবাড়িয়া গ্রামের নির্মল চাঁদ সাধু ঠাকুর বাড়ির শ্রী শ্রী হরি মন্দির প্রাঙ্গনে এ বিশালাকৃতির কালি প্রতিমার পূজা দর্শনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়েছেন। তিনদিনের এ পূজা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে আগামী এক সপ্তাহ জুড়ে এখানে উৎসবের আমেজ চলবে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এ বিশালকৃতির প্রতিমা দর্শনে দেশের দূরদুরান্ত হতে হিন্দু ধর্মালম্বী ভক্তবৃন্দসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী মানুষও এ উৎসব স্থলে সমবেত হতে শুরু করেছেন।
মন্দিরের সেবায়েত শ্রী সন্তোষ মিস্ত্রী জানান, গত ৩১ বছর ধরে প্রতিবছর স্বরস্বতী পূজার একদিন আগে এ ঐতিহ্যবাহী কালি পূজা শুরু হয়ে টানা তিন দিন উৎসব চলে। ১৯৯০ সালে তিন ফুট উচ্চতার কালি প্রতিমা দিয়ে এ মন্দির প্রাঙ্গনে পূজা শুর হয়। প্রতিবছর প্রতিমার উচ্চতা বাড়তে বাড়তে এবার ৯২ ফুটের প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উৎসবস্থলে মেলাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বিশালাকৃতির কালি প্রতীমার পূজা উৎসব ঘিরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে পূন্যার্থী ভক্তবৃন্দের সমাবেশ ঘটেছে।
কালি পূজার আয়োজক হরি চাঁদ ঠাকুর মন্দিরের ধামকর্তা শ্রী নির্মল চন্দ্র চাঁদ ঠাকুর জানান, ৩১ বছর ধরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছরই প্রতীমার উচ্চতা বাড়িয়ে কারিগররা প্রতিমা নির্মাণ করে আসছেন। পূজা শেষে বছর জুড়ে পূন্যার্থীরা এ প্রতিমা দর্শনে আসেন। এশিয়ার মধ্যে এটিই বৃহৎ উচ্চতার কালি প্রতিমা। সাত দিন ধরে এখানে অব্যহতভাবে প্রসাদ বিতরণ করা হবে । তিনি আরও জানান ১২জন গুণরাজ(প্রতীমা শিল্পী) দুই মাস ধরে এ বিশালাকৃতির প্রতিমা নির্মাণ করেছেন। এতে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে।
প্রতিমার প্রধান কারিগর বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ভাস্কর নিত্যানন্দ হালদার জানান,তিনি গত ২০ বছর ধরে প্রতিবছর এখানে এ কালি প্রতিমা নির্মাণ করে আসছেন। এবছর তিনি ৯২ ফুট উচ্চতার প্রতিমা নির্মাণ করেছেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা পূজা ইদযাপন পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক শ্রী পংকজ কুমার সাওজাল জানান,এ পূজায় ভক্তবৃন্দরা সহযোগিতা করে তিন দিনের উৎসব পালন করে। প্রতিবছর প্রতিমা আকারে বড় করা হয়। এবার ৯২ ফুট উচ্চতার কালি প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে।