ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - মঠবাড়িয়ায় যৌন হয়রানির অভিযোগে দুই শিক্ষক বরখাস্ত

মঠবাড়িয়ায় যৌন হয়রানির অভিযোগে দুই শিক্ষক বরখাস্ত

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ছাত্রীদের সাথে যৌন হয়রানীর অভিযোগে মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটি জরুরী বৈঠক ডেকে তাদের বরখাস্ত করেন। মঠবাড়িয়ার মিরুখালীতে ছাত্রী যৌন হয়রানির বিষয়টি নিয়ে গত দুই তিন দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় চলছে। সর্বত্র বইছে নিন্দার ঝড়।

তামান্না আকতার নামে এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পেইজে গত ১৮ জুলাই অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয়ের ছবিসহ একটি ষ্ট্যাটাস পোষ্ট করছেন। ষ্টাটাসে লেখা হয়েছে “মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজ এর দুই জন স্যার মোঃ পারভেজ তালুকদার ও হাসিবউল ইসলাম সজিব নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি করে। এই বিষয়টি জানার পর পাভেজ তালুকদারকে মারধর করা হয় এবং হাসিবুল ইসলাম সজিব স্কুল থেকে পালিয়ে যায়। একজন স্যারই পারে একজন শিক্ষার্থীকে একজন আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলতে। স্যার যদি হয় দুষচরিত্রের, তাহলে শিক্ষার্থীদেরকে কে দেবে নিরাপত্তা? আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই। যেন আগামি দিনে কোন বোনের ইজ্জত না হারাতে হয়।”

পোষ্টটি একাধিক ব্যক্তি তাদের ফেসবুক পেইজে সেয়ার করেছেন। তামান্না বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্রী এবং ভোলায় বাস করেন বলে তার প্রোফইলে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্কুল এন্ড কলেজ সূত্রে জানাগেছে, মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের কম্পিউটার শিক্ষক পারভেজ তালুকদারের বিরুদ্ধে বিগত দিনে কয়েক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাকে সাবধান করা হয়। পরবর্তীতে আবারও ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করলে সিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবকরা এব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন।

পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তদন্ত করে প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হলে যৌন হয়রানির অভিযোগে কম্পিউটার শিক্ষক পারভেজ তালুকদারকে চাকরি থেকে গত মঙ্গলবার অব্যাহতি দেয়। এছাড়া যৌন হয়রানির সহায়তা করায় কৃষি শিক্ষা শিক্ষক হাসিবুল ইসলাম সজিব পলাতক থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ম্যানেজিং কমিটি।

এব্যাপারে অভিযুক্ত কম্পিউটার শিক্ষক পারভেজ তালুকদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে মারধর করে জোর পূর্বক অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। অপর কৃষি শিক্ষক হাসিবুল ইসলাম সজিব তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পঙ্কজ কুমান রায় শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগে দুই শিক্ষককে বরখাস্তের সত্যতা স্বীকার করেন।

মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন খানকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম দুই শিক্ষককে বরখাস্তের কথা স্বীকার করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভনীয় আচারণের একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা সংশোধন না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...