ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - মঠবাড়িয়ায় এক বধূর তিন স্বামী, চার বিয়ে : দুই স্বামীর বউ নিয়ে কাড়াকাড়ি

মঠবাড়িয়ায় এক বধূর তিন স্বামী, চার বিয়ে : দুই স্বামীর বউ নিয়ে কাড়াকাড়ি

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ এটা কোনো বাংলা সিনেমা কিংবা নাটকের ঘটনা নয়। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় সতের বছরের কিশোরী বধূ ফাতিমাকে স্ত্রী দাবি করে দুই যুবক রাসেল ও মিলনের মধ্যে টানা হেচড়া চলছে।

ফাতিমা তুমি কার? হয়তো একথা বলার প্রয়োজন পড়তো না যদি ফাতিমা এক স্বামীর সংসারে থাকতো। কিন্তু দুই স্বামী নিজের বউ দাবি করে রশি টানাটানি করায় সত্যি বলতে হচ্ছে ফাতিমা তুমি কার স্ত্রী?

বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার গ্রাম্য সালিসে ব্যর্থ হওয়ার পর রাসেল মেয়েটিকে নিয়ে মঠবাড়িয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠে। সেখানে অপর যুবক মিলন মঙ্গলবার লোকজন নিয়ে হানা দিলে অবশেষে বিষয়টি রাতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশে গড়ায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ফাতিমার বাবা নাসির হাওলাদার তার স্ত্রী ফাতিমার মা রেহেনা বেগমকে ১১বছর পূর্বে তালাক দিলে সন্তানদের নিয়ে রেহেনা বেগম বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ফাতিমা যখন নবম শ্রেণির ছাত্রী তখন কামাল নামের এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। সেখান থেকে অর্থলোভী মা তাকে ডিভোর্স করায়। পরবর্তীতে পাথরঘাটা থানার কাকচিড়ার খাসতবক গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে মাইক্রো গাড়ি চালক রাসেল (২৪) এর সাথে প্রেমের সূত্র ধরে ৩মাস পূর্বে বেতাগী থানার কাউনিয়া গ্রামের নাসির হাওলাদারের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া ফাতিমা আক্তার (১৭)এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফাতিমার লেখা-পড়ার সুবাদে তার মায়ের কাছে থাকতো।

স্বামী থাকা অবস্থায় শাশুড়ি রেহানা বেগম স্বার্থের কাছে বিক্রি হয়ে এক মাস পূর্বে বেতাগী থানার কাউনিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে দুবাই প্রবাসী মিলন (৩২) নামের এক যুবকের কাছে তার মেয়েকে বিয়ে দেয়।

রাসেল সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার শাশুড়ি একজন অর্থলোভী হওয়ায় স্ত্রীকে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে দুবাই প্রবাসী মিলনের সাথে জোর পূর্বক বিয়ে দেয়। এর ৩দিন পরে ফাতিমা আক্তার আমার কাছে চলে আসে। রাসেল দাবি করেন, ফাতিমা আমার বৈধ স্ত্রী। আমি তাকে ফিরে পেতে চাই।’

এদিকে নতুন স্বামী দাবিদার মিলন বলেন, ‘আমি দুবাই থাকা অবস্থায় ফাতিমার সাথে আমার সম্পর্ক। তার লেখা-পড়ার খরচ আমি বিদেশ থেকে পাঠিয়েছি। বিয়ের বয়স হয়নি বিধায় আমি অপেক্ষা করি। পরে বিদেশ থেকে দেশে এসে গত ১৮এপ্রিল আমি ফাতিমাকে রেজিষ্ট্রিকৃত কাবিনে বিয়ে করি। বিয়ের ৩দিন পর ফাতিমা রাসেলের কাছে চলে যায়। ফাতিমা আমার স্ত্রী। আমি তাকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চাই।’

এ ঘটনার মূল নায়িকা ফাতিমা আক্তার বলেন, ‘আমি রাসেলের স্ত্রী। আমার লোভী মা টাকার বিনিময়ে আমাকে মিলনের সাথে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল। আমি মিলনকে ডিভোর্স দিয়ে রাসেলের কাছে চলে আসি। পুনঃরায় রাসেলকে বিয়ে করি। রাসেলই আমার বৈধ স্বামী। আমি রাসেলের সাথে যেতে চাই।’

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এক মেয়েকে দু’জন স্বামী হিসেবে দাবি করে। তাই মেয়েটির মূল অভিভাবক তার বাবার কাছে বুধবার দুপুরে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...