ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূল - জলাবদ্ধতা 🔴 মঠবাড়িয়ায় ৫৭ কোটি টাকার ফসলহানির আশঙ্কা

জলাবদ্ধতা 🔴 মঠবাড়িয়ায় ৫৭ কোটি টাকার ফসলহানির আশঙ্কা

বিশেষ প্রতিনিধি 🔻
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ‘ইয়াস’র প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ উপচে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। এতে আবাদকৃত মুগডাল ও মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার আবহাওয়া উন্নতির দিকে গেলেও নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা কমেনি। এতে ৫৭ কোটি টাকার ফসল ও দুই কোটি টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অতি জোয়ারের চাপে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামে ফসল এখন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে প্রবল বর্ষণ আর জোয়ারের প্লাবনে মৎস্য ঘেরসহ ফসলি মাঠ ২/৩ ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে মৎস্য খামারিরা অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন ও ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে উপকূলীয় মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া, বেতমোড়, আমরাগাছিয়া, সাপলেজা গ্রামের ফসল আবাদের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে এখনও জোয়ারের প্লাবনে কৃষি ক্ষেত প্রায় তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। কৃষি জমির মাঠে নেতিয়ে পড়ে আছে কাঁচা পাকা আউশ ধান।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত জোয়ারের প্লাবনে উপজেলায় কয়েক হাজার কৃষক অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আউশ বীজতলা ৬০ হেক্টর, আউস আবাদ ১০০ হেক্টর, শাক সবজি ২৫০ হেক্টর, কলা ২০ হেক্টর, পান ৫ হেক্টর সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এতে কৃষি দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী সর্বমোট ৫৭ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া অতি জোয়ারে উপজেলায় ৫৫ হেক্টরে চাষকৃত গলদা চিংরির ঘের ও বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা সম্পূর্ণ ভেসে যায়।

উপজেলার সাপলেজা ঝাটিবুনীয়া গ্রামের তরুণ কৃষক নূরুল আমীন রাসেল জানান, কৃষি জমির মাঠ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। পানি অপসারণের কোনো উপায় নাই। কৃষির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জনান, উপজেলায় ৫৫ হেক্টরে চাষকৃত গলদা ঘেরসহ কার্প জাতীয় মাছ ও অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা ভেসে যাওযায় দুই কোটি বিশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকাত হোসেন ঘূর্ণিঝড়, ভারী বর্ষণ ও অতিজোয়ারের প্লাবনে ফসল বিনস্টের কথা জানিয়ে বলেন, এ ক্ষতি প্রাকৃতিক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অর্থ সহায়তার পাশাপশি বীজ সরবরাহ প্রয়োজন হবে। সেই সাথে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় করা জরুরি।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য নিরুপণ করা হচ্ছে। বলেশ্বর নদী তীরের দুর্গত মানুষ ও মাঝেরচরের দুর্গত মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দুর্গতদের খাদ্য সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...