ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - যেভাবে মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়

যেভাবে মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়

 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত ১১:৩০ মিনিটে পাকিস্তান সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে গণহত্যা,লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন শুরু করলে বঙ্গবন্ধু রাত ১২:২০ মিনিটে বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।২৭ মার্চ সকালে ঢাকা শহরে দেড়ঘন্টার জন্যে কারফিউ সিথিল করা হলে তাজউদ্দিন অাহমেদ ব্যারিষ্টার অামিরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ফরিদপুর মাগুরা হয়ে ঝিনাইদহে পৌঁছেন।ঝিনাইদহের এস ডিপিও বরিশালের মাহবুবউদ্দিন তাঁদেরকে নিয়ে ৩০ মার্চ মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরীর নিকট পৌঁছেন।তৌফিক এলাহী চৌধুরী এবং মাহবুবউদ্দিন এর সহায়তায় তাঁরা ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেলার জীবন নগরের কাছে এবং পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী টুঙ্গি নামক স্থান দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেন।ঐ এলাকার বি.এস.এফ.এর অধিনায়ক কর্নেল এইচ.অার.চক্রবর্তী তাঁদেরকে স্বাগত জানান।অতপর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান গোলক মজুমদার এদিন রাতেই তাঁদেরকে কোলকাতায় নিয়ে যান।

৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে অালাপ অালোচনা করে ১ এপ্রিল গভীর রাতে তাঁরা দিল্লী যান।২ এপ্রিল তাঁরা দিল্লীতে দেখা পান রেহমান সোবাহান,অানিসুর রহমান ও চট্রগ্রামের অাওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী এর সাথে। ৩ এপ্রিল রাতে তাঁরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বাংলাদেশ সরকার গঠন সম্পর্কে অালাপ অালোচনা করেন।মিসেস গান্ধী বাংলাদেশ সরকার গঠনে সার্বিক সহায়তা প্রদানে সম্মতি দিলে ৪ এপ্রিল তাঁরা কোলকাতায় ফিরে অাসেন। ইতোমধ্যে অাওয়ামী লীগের ১ম সারির নেতা, জাতীয় প্রাদেশিক পরিষদের অনেক সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্দ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিরা কোলকাতায় পৌঁছেন।

৫ এপ্রিল তাজউদ্দিন অাহমেদ বাংলাদেশ সরকার গঠনের ঐতিহাসিক দলিল ও বিবৃতি লেখা শেষ করেন।এ ব্যপারে তাঁকে সহায়তা করেন রেহমান সোবাহান এবং ব্যারিষ্টার অামিরুল ইসলাম। ৮ এপ্রিল কোলকাতার ৯ নং লর্ড সিনহা রোডে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের কয়েকজন সদস্যর সাথে বাংলাদেশ সরকার এবং মন্ত্রী সভার কাঠামো সম্পর্কে অালোচনা হয় এবং তাজউদ্দিন অাহমেদের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়। (চলমান)
১০ এপ্রিল কলকাতায় পশ্চিম বঙ আইন পরিষদ সদস্য ভবনে তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, খন্দকার মোস্তাক অাহমেদ, কর্নেল এম.এ.জি.ওসমানী, এ,এইচ,এম,কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন এম,মনসুর আলী মিজানুর রহমান চৌধুরী ,আবদুর রাজ্জাক, শেখ আবদুল আজিজ,ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলাম,অধ্যাপক ইউসুফ আলী, আবদুল মান্নান, অধ্যাপক মমতাজ বেগম, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ তথা গণপরিষদের ৭৬ জন সদস্য এবং অাওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি,সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন অাহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে বাংলাদেশ সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।ব্যারিষ্টার অামিরুল ইসলামের রচিত স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র বৈঠকে অনুমোদিত হয়।এ ঘোষণা পত্রের ২ টি গুরুত্বপূর্ন বাক্য হচ্ছে “বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা অামাদের কর্তব্য বিবেচনা করে অামরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা ২৬ মার্চ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি”।

গণপরিষদের সদস্য অধ্যাপক ইউসুফ অালীকে এ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের অায়োজন করার দায়িত্ব দেয়া হয়।শুধু একটি বিষয় গোপন রাখা হয় যে,১৪ এপ্রিল এ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্যে ভারতের সীমান্ত থেকে ১৬ কিঃমিঃ দূরবর্তী চুয়াডাঙ্গা শহরকে মনোনীত করা হয় এবং এ শহরকে কেন্দ্র করে সরকারি কাজ-কর্ম পরিচালনা করা হবে।এদিন রাতে এ সংবাদটি অসতর্কতাবশত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক গোলা বর্ষণ করে বহু লোক হতাহত করে।

১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন অাহমেদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্য ভাষণ দেন এবং দেশবাসীকে অবহিত করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী সদস্যরা পাকিস্তান সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ সরকারকে সহায়তা করার জন্যে তিনি বিশ্ববাসীকে অাহবান জানান।

এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে,মেহেরপুর মহকুমা শহর (বর্তমানে জেলা) থেকে ১৬ কিঃমিঃ দক্ষিনে পশ্চিম বঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম ভবেরপাড়ার অাম বাগানে ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার অানুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করবে এবং সেখানে গড়ে উঠবে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী এবং এ সরকারের নাম হবে মুজিব নগর সরকার। উল্লেখ্য, এ স্থানটি বৈদ্যনাথতলা নামেও পরিচিত। ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি.এস.এফ. এ স্থানটি নির্বাচন করেন।কারণ, কোলকাতা থেকে এখানে দ্রুত যাতায়াত করা সহজ ছিল।এছাড়া,এ স্থানটি ভৌগোলিক দিক দিয়ে সুবিধাজনক ছিল।পাকিস্তান বাহিনী অাকাশ পথে বিমান হামলা করতে চাইলে ভারতীয় অাকাশ সীমায় প্রবেশ করতে হবে।পাকিস্তান সেনা বাহিনী নিশ্চয়ই সে ঝুঁকি নিবে না।এভাবেই ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার যে স্বাধীনতার সূর্য অস্ত যায়,১৯৭১ সালে বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে সেই স্বাধীনতার সূর্য পুনঃ উদয় হয়।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল রোজ শনিবার (৩ বৈশাখ, ১৩৭৮ বঙ্গাব্দ) বেলা ১১ টায় মেহেরপুর মহকুমার ভবেরপাড়া অাম বাগানে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মেহেরপুর কলেজের ছাত্র মোঃ বাকের আলি পবিত্র কুরঅান তেলোয়াত করেন। অতঃপর অামার সোনার বাংলা, অামি তোমায় ভালবাসি সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন অাহমেদ ও ৩ জন মন্ত্রী যথা- খন্দকার মোস্তাক অাহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর অালী এবং এ.এইচ.এম.কামরুজ্জামান শপথ গ্রহণ করেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ায় শপথ গ্রহণ করতে পারেননি।তাঁর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করবেন।শপথ অনুষ্ঠান ছিল সংক্ষিপ্ত।বঙ্গবন্ধুর সামরিক উপদেষ্টা এবং গণপরিষদ সদস্য কর্নেল (অবঃ)মোঃ অাতাউল গণি ওসমানি, বাংলাদেশ সরকারের মুখপত্র জয়বাংলা পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি আব্দুল মান্নান এম. সি. এ, মুজিব বাহিনীর চার অধিনায়ক শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ, দেশী-বিদেশী ১২৭ জন সাংবাদিক,দক্ষিন পশ্চিম রনাঙ্গনের অধিনায়ক তথা ৮ নং সেক্টর কমান্ডার ইপিঅার মেজর অাবু ওসমান চৌধুরী,ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন অাহমেদ, পাবনার জেলা প্রশাসক নুরুল কাদের খান, মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক তৌফিক ই এলাহি চৌধুরী,চুয়াডাঙ্গা থেকে নির্বাচিত গণপরিষদ সদস্য ডাক্তার অাসহাব উল হক, বেসামরিক পোষাকে বি.এস.এফ. এর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান গোলক মজুমদার ও ৭৮ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে.কর্নেল এইচ.অার চক্রবর্তী, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের কতিপয় সদস্য এবং কতিপয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করেন।শপথ শেষে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন ঝিনাইদহের এস.ডি.পি.ও. বরিশালের মাহাবুব উদ্দিন নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সশস্ত্র দল। শপথ বাক্য এবং স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন গণ পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোঃ ইউসুফ অালী।শপথ শেষে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন।প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে,অাজ থেকে স্থানটির নাম মুজিব নগর এবং বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী।এখান থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হবে। এ সরকারের অস্থায়ী ক্যাম্প হবে ৮ নং থিয়েটার রোড, কোলকাতা, ভারত। উল্লেখ্য, শপথ গ্রহণের পূর্বে বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি।কোলকাতা প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিকদের অানা হয়েছিল না জানিয়ে।১৭ এপ্রিল বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন।এদিন মুজিব নগর সরকার “স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং পাকিস্তান সেনা বাহিনীকে ১৬ ডিসেম্বর অাত্মসমর্পন করতে বাধ্য করা” । এ সরকারকে কেউ কেউ প্রবাসী বাংলাদেশ সসরকার আবার কেউ কেউ অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার বলেন। এ সরকার দেশে এবং বিদেশে নজিরবিহীন সমর্থন লাভ করে। যেভাবে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়।

মুজিবনগর সরকারের কাঠামো নিম্মরুপঃ
১।রাষ্ট্রপতি -বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান(পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের হাতে বন্দী)
২।উপ-রাষ্ট্রপতি- সৈয়দ নজরুল ইসলাম (বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং পদাধিকার বলে সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক)
৩।প্রধানমন্ত্রী-তাজউদ্দিন অাহমেদ (ক) প্রতিরক্ষা (খ) তথ্য ও বেতার (গ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন(ঘ) শিক্ষা, স্থানীয় সরকার,স্বাস্থ্য,শ্রম, কল্যাণ এবং অন্যান্য।
৪।অর্থমন্ত্রী-ক্যাপ্টেন এম মনসুর অালী অর্থ,জাতীয় রাজস্ব,বানিজ্য,শিল্প ও পরিবহণ
৫।স্বরাষ্ট্র,ত্রান ও পুনর্বাসন মন্ত্রী-এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান
৬।পররাষ্ট্র ও অাইন মন্ত্রী -খন্দকার মোস্তাক অাহমেদ
৭।প্রধান সেনাপতি-কর্নেল (অবঃ) মোঃ অাতাউল গণি ওসমানি
৮।চীফ অফ স্ট্যাফ-কর্নেল(অবঃ) অাব্দুর রব
৯।ডেপুটি চীফ অফ স্ট্যাফ ও বিমান বাহিনী প্রধান-গ্রুপ ক্যাপ্টেন অাব্দুল করিম খন্দকার

১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল পশ্চিম বঙ্গের অানন্দ বাজার পত্রিকায় “একটি নতুন রাষ্ট্র,নতুন জাতি জন্ম নিল” শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।রিপোর্টে বলা হয় যে,গতকাল সকালে মুজিবনগরে একটি রাষ্ট্র অানুষ্ঠানিকভাবে জন্ম নিল। রাষ্ট্রের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। তার জন্মলগ্নে অাকাশে থোকা থোকা মেঘ ছিল।তার জন্মলগ্নে ৪ টি ছেলে প্রাণ ঢেলে “অামার সোনার বাংলা,অামি তোমায় ভালবাসি”গানটি গাইলো।তার জন্মলগ্নে পবিত্র কুরঅান থেকে তেলোয়াত করা হলো। কুরআন তেলোয়াত করেন মেহেরপুর কলেজের ছাএ জনাব বাকের আলী। তার জন্মলগ্নে সহস্র কন্ঠে জয়ধ্বনি উঠলো জয় বাংলা।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিব নগর সরকার) মন্ত্রনালয় ও বিভাগের সংখ্যা ছিলো ১২টি, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ছিলো ১১টি এবং অসামরিক শাসন পরিচালনারর জন্যে ১১ আঞ্চলিক পরিষদ ছিলো। আঞ্চলিক পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সদস্য ছিলেন রাজনীতিবিদগন। সেক্টর কমান্ডারগন ছিলেন পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালী অফিসারগন।

মন্ত্রনালয় ও বিভাগ সমূহঃ
১. প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়
২. পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়
৩. অর্থ,শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়
৪. স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রনালয়
৫. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়
৬. তথ্য ও বেতার মন্ত্রনালয়
৭. ত্রান ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়
৮. মন্ত্রি পরিষদ সচিবালয়
৯. সাধারণ প্রশাসন ও সংস্থাপন বিভাগ
১০. সংসদ বিষয়ক বিভাগ
১১. কৃষি বিভাগ
১২. প্রকৌশল বিভাগ

এছাড়াও, মন্ত্রনালয়ের বাইরে আরো কয়েকটি সংস্থা ছিলো, যারা সরাসরি মন্ত্রি পরিষদের অধীনে কাজ করতেন, যেমনঃ-
১. উপদেষ্টা পরিষদ
২. পরিকল্পনা কমিশন
৩. শিল্প ও বানিজ্য বোর্ড
৪. যুব ও অভ্যর্থনা শিবির নিয়ন্ত্রন বোর্ড
৫. ত্রান ও পূনর্বাসন কমিটি
৬. শরণার্থী কল্যান বোর্ড।

মুজিব নগর সরকারের নিযুক্ত কর্মকর্তা বৃন্দঃ
১. প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা – ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম
২. মূখ্য সচিব- রুহুল কুদ্দুস
৩. ক্যাবিনেট সচিব – এইচ. টি. ইমাম
৪. অর্থ সচিব- খন্দকার আসাদুজ্জামান
৫. প্রতিরক্ষা সচিব- আব্দুস সামাদ
৬. পররাষ্ট্র সচিব- মাহবুবুল আলম চাষী( নভেম্বর পর্যন্ত) এরপর আবুল ফাতেহ
৭. তথ্য সচিব- আনোয়ারুল হক খান
৮. সংস্থাপন সচিব- নুরুল কদির খান
৯. স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ প্রধান- আব্দুল খালেক
১০. কৃষি সচিব- নুরুদ্দিন আহমেদ
১২. পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান- ড. মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী
১৩. যুব শিবির প্রধান- উইং কমান্ডার এস. আর. মীর্জা
১৪. তথ্য ও প্রচার প্রধান- এম. আর.আখতার মুকুল
১৫.স্বাস্থ্য প্রধান- ডাঃ টি. হোসেন
১৬. ত্রাণ ও পূনর্বাসন প্রধান- জে. জি. ভৌমিক
১৭. চলচ্চিত্র বিভাগ প্রধান- আব্দুল জব্বার

বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধানঃ

১.কলকাতা,ভারত- মোহাম্মদ হোসেন আলী
২.নতুন দিল্লী, ভারত – হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী
৩. লন্ডন, যুক্তরাজ্য- বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী( তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি)
৪. ষ্টক হোম, সুইডেন- আব্দুর রাজ্জাক
৫. বার্ণ, সুইজারল্যান্ড- ওয়ালিউর রহমান
৬. ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র- এম. আর. সিদ্দিকী
৭. নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র- এস. এ. করিম
৮. টোকিও, জাপান- এস. এম. মাসুদ
৯. মেনিলা, ফিলিপাইনস- খুররম খান পন্নী
১০. হংকং- মহিউদ্দিন আহমেদ
১২. কাঠমুন্ডু, নেপাল- এ. এম. মোস্তাফিজুর রহমান।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...