মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দৃবুত্তের হামলায় আহত মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন (৭৫) দুই দিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন । নিহত ফরিদ উদ্দিন উপজেলার বেতমোর আশরাফুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত ভাইস প্রিন্সিপাল ও বেতমোর গ্রামের মৃত সবদার আলী শিকদারের পুত্র।
পরিবারে অভিযোগ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শ্যালকের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়ে তিনি নিহত হন।
নিহত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন,, আমার আপন মামা একই এলাকার হাবিবুর রহমানের সাথে আমার বাবার দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে নানা আঃ গণি হাওলাদার বাড়ি মসজিদ থেকে এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হাবিবুর রহমান ও তার পুত্র নাসির উদ্দিন দলবলসহ তার বাবার মাথা ও শরীরে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওই রাতেই বরিশাল শেবাচিমে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বরিশাল শেবাচিমের চিকিৎসকরা মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় প্রেরণ করেন। আজ বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশ এর ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত শিক্ষকের মারা যাওয়ার ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।