আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন >
সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নদী ঘেরা বরিশাল বিভাগের জনসাধারণকে রেল সুবিধার আওতায় আনতে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং বরিশাল থেকে পায়রা বন্দর পর্য়ন্ত রেললাইনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যার মধ্যে সাত হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া হবে। আর সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে এক হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা।
ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ব্রডগেজ নির্মাণ এবং বরিশাল থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইনের সম্ভাব্যতা যাচাই নামের এ প্রকল্পের মধ্যে ভাঙ্গা-বরিশাল রেলপথের প্রাথমিক প্রস্তাব (পিডিপিপি) ইতিমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর বরিশালের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের রেল যোগাযোগ তৈরি হবে। ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আগামী বছরের জুলাইয়ে এ প্রকল্প শুরু করতে চায় রেল মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ৩ মে ঢাকা থেকে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পায়। রেল মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল যাবে যাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত। এরপর ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রথম ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরের ধাপে বরিশাল থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত লাইন নির্মাণে এবং বরিশাল থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে সম্ভব্যতা যাচাইয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাশনস করপোরেশনের (সিসিইসিসি)। এ জন্য চীন সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থয়ানের নিশ্চয়তা দিয়েছে সংস্থাটি ।
সূত্র > দৈনিক কালের কণ্ঠ অনলাইন